বার্সেলোনার পর স্পেনের হয়েও ইতিহাস গড়লেন ইয়ামাল

ছবি: টুইটার

গত মৌসুমে বার্সেলোনার ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন লামিনে ইয়ামাল। ক্লাবের পর এবার জাতীয় দলের হয়েও ইতিহাস গড়লেন তিনি। স্পেনের জার্সিতে সবচেয়ে কম বয়সে খেলা ও গোল করার দুটি কীর্তিই এখন তার।

শুক্রবার রাতে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে জর্জিয়াকে তাদের মাঠেই ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্প্যানিশরা। 'এ' গ্রুপের ম্যাচটির প্রথমার্ধের শেষদিকে মাঠে ঢোকেন মাত্র ১৬ বছর ৫৭ দিন বয়সী উইঙ্গার ইয়ামাল। ৪৪তম মিনিটে তাকে নামানো হয় দানি অলমোর বদলি হিসেবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকের দিনটিকে তিনি আরও স্মরণীয় করে রাখেন দ্বিতীয়ার্ধ গোল করে। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন।

ইয়ামাল যে দুটি রেকর্ড নিজের করে নেন, সেগুলো এতদিন ছিল তারই বার্সা সতীর্থ গাভির দখলে। ২০২১ সালের অক্টোবরে স্পেনের হয়ে ইতালির বিপক্ষে ১৭ বছর ৬২ দিন বয়সে অভিষেক হয়েছিল মিডফিল্ডার গাভির। পরের বছর চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে জাতীয় দলে নিজের প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৩০৪ দিন।

জর্জিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সব মিলিয়ে তিনটি কীর্তিতে নাম লেখান ইয়ামাল। ইউরোর বাছাইয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ডও এখন তার। তিনি পেছনে ফেলেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও টটেনহ্যাম হটস্পার ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেলকে। ওয়েলসের হয়ে ২০০৬ সালে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ১৭ বছর ৮৩ দিন বয়সে গোল করেছিলেন বেল।

এদিন স্পেনের বিশাল জয়ে মূল ভূমিকা পালন করেন আলভারো মোরাতা। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার করেন হ্যাটট্রিক। তার ও ইয়ামালের পাশাপাশি লক্ষ্যভেদ করেন অলমো ও উইলিয়ামস। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন সলোমন কেভারকেভেলিয়া। জর্জিয়ার পক্ষে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন গিওর্গি চাকভেতাদজে। সেখানে অবশ্য দায় আছে স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমনের। তার হাতের ফাঁক গলে বল জড়ায় জালে।

এই জয়ে 'এ' গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছে স্পেন। রেকর্ড তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট তিন ম্যাচে ৬। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জর্জিয়া। শীর্ষে থাকা স্কটল্যান্ড পাঁচ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট পেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

19h ago