ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেকেই ইতিহাসের পাতায় এস্তেভাও
ম্যাচের তখন ৬২তম মিনিটের খেলা চলছিল। লুইজ এনরিকের বদলি হিসেবে মাঠে ঢুকলেন এস্তেভাও উইলিয়ান। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিলেন পালমেইরাসের কিশোর উইঙ্গার। ব্রাজিলের জার্সিতে পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হলো তার।
শনিবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের লড়াইয়ে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন এস্তেভাও।
ব্রাজিলের গণমাধ্যম ও গ্লোবোর প্রতিবেদন অনুসারে, অভিষেকের সময় এস্তেভাওয়ের বয়স ছিল ১৭ বছর ১৩৫ দিন। চলতি শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হওয়া সেলেসাওদের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার তিনি। সব মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়দের তালিকায় সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন।
এই তালিকার শীর্ষে আছেন তিনটি বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি পেলে। ১৯৫৭ সালে তার অভিষেক হয়েছিল ১৬ বছর ২৫৭ দিন বয়সে। দুইয়ে থাকা এদু ১৯৬৬ সালে প্রথমবার খেলতে নেমেছিলেন ১৬ বছর ৩০৩ দিন বয়সে। তৃতীয় অবস্থানটি কৌতিনহোর দখলে। তিনি ১৯৬০ সালে ১৭ বছর ২৮ দিন বয়সে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন।
চার নম্বরে রয়েছেন হালের সেনসেশন এনদ্রিক। গত বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবার মাঠে নামার সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ১১৮ দিন। একবিংশ শতাব্দীতে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হওয়া কনিষ্ঠতম ফুটবলারও তিনি। পরের স্থানটিতে নাম এদিন লিখিয়েছেন এস্তেভাও।
অভিষেকে ইতিহাস গড়লেও গোল পাওয়া হয়নি এস্তেভাওয়ের। মাঠে থাকা সময়ে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকাও ছিল না তার। তবে আরও একটি কীর্তি গড়ার হাতছানি রয়েছে তার সামনে। ব্রাজিলের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়ে যেতে পারেন তিনি।
এই তালিকাতেও সবার ওপরে জ্বলজ্বল করছে পেলের নাম। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক গোল করেছিলেন ১৬ বছর ২৫৭ দিন বয়সে। অর্থাৎ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকেই জাল খুঁজে নিয়েছিলেন। পরের স্থানে থাকা এদু ১৬ বছর ৩০৬ দিন বয়সে প্রথম গোল পেয়েছিলেন ১৯৬৬ সালে।
ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন রোনালদো। তিনি ১৭ বছর ২২৮ দিন বয়সে গোল করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। এর মানে, এস্তেভাওয়ের সুযোগ রয়েছে রোনালদোকে টপকে যাওয়ার। আগামী বুধবার সকালে বাছাইয়ের ম্যাচে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। সেদিন গোল করলে তিনে উঠে যাবেন এস্তেভাও।
Comments