জভেরেভকে গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা সিনারেরই

ছবি: এএফপি

শেষ শটটি খেলেই তৃপ্তিতে চোখ বুজে গেল ইয়ানিক সিনারের। দারুণ প্রাপ্তির আনন্দ উদযাপনে দুই হাত উঁচুতে তুললেন তিনি। বুনো উল্লাস থাকল না, সাফল্যের সবটুকু যেন নীরবে উপভোগ করলেন! আধিপত্য দেখিয়ে আলেক্সান্দার জভেরেভকে গুঁড়িয়ে দিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা ধরে রাখলেন ২৩ বছর বয়সী ইতালিয়ান তারকা।

রোববার রড লেভার অ্যারেনায় আসরের পুরুষ এককের ফাইনালটি ছিল র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই খেলোয়াড়ের। সেখানে এক নম্বর বাছাই সিনারের বিপরীতে সেই অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি দ্বিতীয় বাছাই জভেরেভ। তাকে দুই ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াইয়ে সরাসরি সেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিনার। ২৭ বছর বয়সী তারকা জভেরেভের বিপক্ষে তার জয় ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪) ও ৬-৩ গেমে।

সব মিলিয়ে এটি সিনারের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্ল্যাম। নারী-পুরুষ মিলিয়ে তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতা প্রথম ইতালিয়ান টেনিস খেলোয়াড় তিনি। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগের আসরে রাশিয়ান দানিল মেদভেদেভকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন সিনার। এরপর তিনি ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন আমেরিকান টেইলর ফ্রিটজকে হারিয়ে।

ক্যারিয়ারের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে উঠে সিনার যেমন সবকটিতেই জিতলেন, জভেরেভ তেমনি করলেন হারের হ্যাটট্রিক। এর আগে তিনি হেরেছেন ২০২০ সালের ইউএস ওপেন ও ২০২৪ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে। উন্মুক্ত যুগে (১৯৬৮ সাল থেকে) অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের কমপক্ষে প্রথম তিনটি ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়েছেন সিনার।

জভেরেভকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আরও কিছু দারুণ অর্জনের মালিক হয়েছেন সিনার। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা অবস্থায় প্রথম ৫০টি ম্যাচের ৪৭টি জিতলেন তিনি। এই কীর্তি আছে কেবল আর দুজনের। তারা হলেন সুইডিশ বিয়র্ন বোর্গ ও আমেরিকান জিমি কনরস। আরেকটি জায়গায় তো সিনার অনন্য! র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে টানা ১০টি ম্যাচ তিনি জিতলেন কোনো সেট খোয়ানো ছাড়া।

ম্যাচের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিনার বলেছেন, 'সত্যি বলতে, এবারের অনুভূতি অনেক আলাদা। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে আসাটা একদম ভিন্ন ব্যাপার। বাড়তি চাপ থাকলেও আমি সেটা উপভোগ করেছি। আর ফাইনালের চাপ তো অন্যরকমই। জভেরেভের জন্য একটি কঠিন দিন ছিল। সে বেশ হতাশ ছিল এবং আমি তাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছি। তবে হারের পর এটা কঠিন।'

Comments

The Daily Star  | English

UP chairmen’s absence: People suffer amid service disruptions

The situation worsened after the launch of "Operation Devil Hunt" in early February

10h ago