উইম্বলডনের গ্লানি মুছে সিনসিনাটিতে নতুন লক্ষ্য আলকারাজের

লন্ডনের সবুজ ঘাসে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছেন কার্লোস আলকারাজ। তবে সেই হার তার মুখ থেকে হাসি কেড়ে নিতে পারেনি। হার মানেননি মনেও। উইম্বলডনের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে আবারও নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন স্পেনের এই তরুণ তারকা। নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন, চেনা ছন্দে ফিরতে নামছেন সিনসিনাটি মাস্টার্সে।
বুধবার প্রথমবার সিনসিনাটি মাস্টার্সের ভেন্যুতে পুরো দিন কাটান আলকারাজ। নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এই তারকা বলেন, 'উইম্বলডনে হারলেও আমি গর্ব নিয়ে কোর্ট ছেড়েছি। হ্যাঁ, ম্যাচটা হেরে গিয়েছি, কিন্তু চেষ্টা করে গেছি শেষ পর্যন্ত। আমি খুশি যে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে পেরেছি।'
'মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে লক্ষ্য বদলে যেতে পারে। আমার লক্ষ্য এখন উন্নতি করে যাওয়া, কোর্টে এবং কোর্টের বাইরে সময়টা উপভোগ করা। তবে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য এ বছরের শেষ নাগাদ আবারও এক নম্বর র্যাঙ্কিং ফিরে পাওয়া,' যোগ করেন আলকারাজ।
উইম্বলডনের পর টরন্টো মাস্টার্সে না খেলে বিশ্রামে ছিলেন আলকারাজ। এই সময়টা কাজে লাগিয়েছেন মানসিকভাবে চাঙা হয়ে ওঠার জন্য। 'এক সপ্তাহ কোনো কিছুই করিনি। এরপর ঘরে বসেই অনুশীলন শুরু করি। পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাই। গ্রীষ্মে বাড়িতে থাকতে পারা আমার জন্য দারুণ কিছু ছিল। অনেক দিন পর নিজেকে শান্ত মনে হয়েছে,' বলেন তিনি।
চলতি বছরই ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে জান্নিক সিনারকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন আলকারাজ। এরপর উইম্বলডনে সেই সিনারের কাছেই হার। তরুণ এই দুই তারকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতিমধ্যে টেনিস বিশ্বে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।
'আমরা খুব অল্প সময়েই অনেক কিছু করে ফেলেছি। মানুষ বলছে, আমরা টেনিসের ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছি। কিন্তু ক্যারিয়ার তো অনেক বাকি। দেখা যাক আমরা কতদূর যেতে পারি,' মন্তব্য আলকারাজের।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় স্থানে আছেন এই টেনিস তারকা। কিন্তু চোখ তার আবারও সেই শীর্ষে ফেরার দিকে। 'আমি শক্তভাবে সিনসিনাটিতে ফিরতে চাই। আমি এখানে জিততে এসেছি। নিজের সেরাটা দিতে চাই প্রতিটি ম্যাচে।'
২০২৩ সালে সিনসিনাটির ফাইনালে উঠেছিলেন আলকারাজ। এবার শিরোপা না জেতা পর্যন্ত থামতে চান না। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে তিনিই হতে পারেন সবচেয়ে বড় চমক, আবারও বিশ্ব টেনিসের সিংহাসনে ফিরে আসার দৌড়ে।
Comments