হতাশা প্রকাশ করে শাস্তি পেলেন কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন

‘হাত পা বাঁধা, কিছু বললেই সাসপেন্ড করে দিবে’, জাকের আলি অনিককে দেওয়া আউটের সমালোচনায় সংবাদ সম্মেলনে এমনটা বলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ঘটনার একদিন পর ঠিকই শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।
MOhammad salauddin

'হাত পা বাঁধা, কিছু বললেই সাসপেন্ড করে দিবে', জাকের আলি অনিককে দেওয়া আউটের সমালোচনায় সংবাদ সম্মেলনে এমনটা বলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ঘটনার একদিন পর ঠিকই শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।

রোববার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিসিবি জানিয়েছে, শনিবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে অনুপযুক্ত মন্তব্য করায় সালাউদ্দিনকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাকে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে।

সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ আনেন মাঠের দুই আম্পায়ার ডেভিড মিলন্স, মোরশেদ আলি খান, টিভি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান স্বপন। কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন রোববার ম্যাচ রেফারির দেবব্রত পালের কাছে সাজা মেনে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

সেদিন বরিশালের  ইফতেখার আহমেদের অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে এসে করা বলে জাকেরকে মাঠের আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আউট দিলে তিনি রিভিউ নেন। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, বলের প্রায় পুরোটাই পিচ করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে। বড় পর্দায় তা দেখার পর জাকের বেঁচে যাওয়ার স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ, হতভম্ব হয়ে মাঠ ছাড়েন জাকের।  ম্যাচ শেষে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, 'এডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো আমার মনে হয়। আম্পায়ার যেটা দিয়ে দেবে, সেটা দেওয়াই ভালো। এটা তো একেবারে লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, এমন না যে...।'

'খালি চোখে যেটা আমরা দেখছি নট আউট, সেটা থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দিচ্ছে। কি করতে পারি? আমাদের তো কিছু করার নেই।'

'আমরা মাঠে চিল্লাচিল্লি করি এটা কি চান? এমনিই সাসপেন্ড করে দেবে। ঠিক আছে। যেহেতু খেলা চলছে। প্রতিবাদ করেও তো লাভ নেই। আমরা লিখিত দিব বা প্রতিবাদ করবো সেটা করেও তো লাভ নেই। কোনো লাভ হবে না। আসলে কিছু করার নেই। হাত পা বাধা আছে। যা হবার তাই হবে আর কি।'

তার এই ঝাঁজালো মন্তব্য পছন্দ হয়নি বিসিবির। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তাই সাজা পেতে হলো এই কোচকে।

যে সিদ্ধান্ত নিয়ে এত বিতর্ক আইসিসির নিয়মে সেটাতে আসলে আউট হওয়ার কথা ছিল না জাকেরের। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পিচিং জোন দেখার প্রযুক্তিতে বলের ৫০ শতাংশের বেশি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচড করলে তা পিচড আউটসাইড লেগ হিসেবে গণ্য হয়। জাকেরের আউটের বেলায় বলের ৯৯ শতাংশই লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল। আইসিসির নিয়মে তাই কোনভাবেই আউট হন না জাকের।

শনিবার মধ্যরাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিসিবি জানায়, এডিআরএসের বেলায় তারা টুর্নামেন্টের প্লেয়িং কন্ডিশন ভিন্ন। বলের যেকোনো হালকা অংশও পিচিং জোনে থাকলে তা পিচড ইন লাইন হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ আইসিসির মৌলিক আইনের বাইরে গিয়ে এবার বিপিএলে এডিআরএস পরিচালনা করছে বিসিবি।

Comments