মেসিকে অর্জনের স্বীকৃতি দিতে চায় ব্রাজিলের মারাকানাও

অনেকের মতে, কাতার বিশ্বকাপ জিতে অমরত্ব পেয়ে গেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলও চিরস্মরণীয় করে রাখতে চায় ক্ষুদে জাদুকরকে। দেশটির বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের 'হল অফ ফেম' তার পায়ের ছাপ সংরক্ষণ করতে মুখিয়ে আছে। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়ে মেসি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামটির কর্তৃপক্ষ।

গত রোববার লুসাইল স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। এতে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতেন মহাতারকা মেসি। ক্লাব ফুটবলে অসংখ্য কীর্তি গড়া ফরোয়ার্ড ঘুচিয়ে ফেলেন দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ।

নেইমারের ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের অভিযান সফল হয়নি এবারও। আসরের শেষ আটে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয় তারা। তবে নিজেরা না পারলেও মেসির অর্জনের স্বীকৃতি ঠিকই দিতে চায় দেশটি।

মেসিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পাঠানো চিঠির কিছু অংশ বুধবার প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রিও দি জেনেইরো শহরের খেলাধুলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তদারকির প্রধানের দায়িত্বে থাকা আদ্রিয়ানো সান্তোস চিঠিতে বলেছেন, 'মেসি ইতোমধ্যে (বিশ্বের সামনে) মাঠ ও মাঠের বাইরে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এমনই একজন খেলোয়াড় যিনি বছরের পর বছর ধরে ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্থানে আছেন এবং মারাকানার জন্যও তাকে শ্রদ্ধা জানানোর চেয়ে মানানসই আর কিছুই হতে পারে না। সর্বোপরি, বল পায়ে মেসি একজন প্রতিভাবান (ফুটবলার)।' 

ব্রাজিলের রিও দি জেনেইরোর স্থানীয় সরকারের অধীনে থাকা মারাকানা স্টেডিয়ামের ফুটবল ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ।  ১৯৫০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মাঠেই। আট বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে এই মাঠেই জার্মানির বিপক্ষে ফাইনাল হেরে অশ্রুর সাগরে ডুবেছিলেন মেসি।

এবার সেই স্টেডিয়ামেরই 'ওয়াক অফ ফেম'-এ বিজয়ীর বেশে পায়ের ছাপ রাখার সুযোগ মেসির সামনে। সেখানে আরও রয়েছে পেলে, গারিঞ্চা, রোনালদো, ইউসেবিওসহ আরও অনেক কিংবদন্তির পায়ের ছাপ। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে মেসির পায়ের ছাপও শোভা পাবে ঐতিহাসিক এই ফুটবল দুর্গে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU second campus: Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

6h ago