গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত ইমরানকে চারবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তারনল ও রমনা থানায় দায়ের করা মামলার শুনানিতে হাজির হন বুশরা ও তার আইনজীবীরা। এসব মামলায় চারটি এফআইআর জারি করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ ও দেশের অন্যান্য অংশে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মী ও সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন মহল থেকে পিটিআইর কার্যক্রম সীমিত করার দাবি আসছে।
বুধবার সকাল ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি।
আজ ভোরে এএফপির কর্মীরা লক্ষ্য করেন, ইসলামাবাদের রেড জোন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরানো হয়েছে।
মধ্যরাতে বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীকে অরাজকতা রোধে যেখানে প্রয়োজন সেখানে কারফিউ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫০টির মতো ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
গত ১৩ নভেম্বর কারাগার থেকেই দেশব্যাপী বিক্ষোভের ‘চূড়ান্ত ডাক’ দেন ইমরান খান।
নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জোট সরকার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও পাঁচ দফা বৈঠকের পরেও তারা একমত হতে পারেনি। অপরদিকে, ইমরান খানের পিটিআইও সরকার গঠনে তৎপর রয়েছে।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসনে জয়লাভ করে। স্বতন্ত্রদের বেশিরভাগই পিটিআই সমর্থিত।
তিনি ‘পাকিস্তানের সামরিক শাসক ও তাদের ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রভুদের’ উদ্দেশে এই বার্তা দেন।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে পিটিআইয়ের শক্ত অবস্থান ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে, যা পাকিস্তানের রাজনীতিকে একটি নতুন মেরুকরণের সামনে দাঁড় করিয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যম সূত্রে এখন পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। জোট গঠনের পথে হাঁটতে হচ্ছে সবাইকেই।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৪৪ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ৯৬ আসনে জয় নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) বিরুদ্ধে ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
২৪১ আসনের ফলাফলে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৬টিতে জয়লাভ করেছেন।
১০৬ আসনের মধ্যে ৪৭টিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থনপুষ্ট।