বিকেল ৫টায়ও কর্মবিরতি চলছিল, বন্ধ হয়ে আছে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম।
পদোন্নতির দাবিতে শনিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। টানা তিনদিন সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা করে তাদের এই ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি চলবে।
কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে কর্মকর্তাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এর ফলে দপ্তরগুলোর স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ব্যানারসহ অবস্থান করবেন।
গত পরশু থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
তবে হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও জরুরি সেবা চালু আছে।
রেল উপদেষ্টা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে এই ঘোষণা আসে।
কর্মবিরতি কর্মসূচি নিয়ে রেলওয়ের লোকোমাস্টার ও রানিং স্টাফরা অনড় অবস্থানে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো যাত্রী।
দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে আসা যাত্রীরা গন্তব্যে না যেতে পেরে ক্ষুব্ধ ও হতাশার কথা জানিয়েছে।
কারখানাগুলো হলো, টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেসিক ক্লথিং লিমিটেড, অ্যাপারেলস প্লাস ইকো, বেসিক নিটওয়্যার লিমিটেড ও অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেড।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউ ও সিসিইউর মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
আজ সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
রোববার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।
‘বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে সীমিত সংখ্যক জনবল রেখে সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।’
‘দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনো শিক্ষকদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূইয়া আজ এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সকাল থেকে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন শুরু করেন
ভাতা বাড়ানো, বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চার দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
মাসিক ভাতা ৩০ হাজার টাকা করার দাবিতে গত শনিবার রাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।