‘আজকে দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
যে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ, জালিয়াতিতে ভরপুর, সেই নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করলেই নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত হয়ে যায়—এমন ধারণা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রে নেই।
নির্বাচনের সময় ঘোষণায় মাঠ দখল নিয়ে বিএনপি যদি লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সামগ্রিকভাবে অচল করে দিতে চায়, তাহলে সরকারের সমর্থক দেশি-বিদেশি মহলের বিরাগভাজন হয়ে উঠতে পারে বিএনপি।
উত্তাল সাগরে চলমান জাহাজের হাল ছেড়ে যেতে পারেন না একজন ক্যাপ্টেন
অন্তর্বর্তী সরকার কি ক্ষমতা ছাড়বে, নাকি এ সরকারের ক্ষমতাকাল আরও দীর্ঘ হবে? তাহলে রাজনৈতিক স্বপ্নভঙ্গই কি এ ভূখণ্ডের মানুষের নিয়তি?
সম্প্রতি কি বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেছে যার কারণে আমাদের এই বিশ্বাস জোরদার হবে যে, আমরা গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছি?
সম্পাদক পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার কি সংস্কার করেই নির্বাচনে যাবে? নাকি, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে?
তিনি বলেন, একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ায় বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণজোয়ার দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে নেমেছে। এ জোয়ার থামানো যাবে না।
‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা কথা বলছে’ প্রসঙ্গ টেনে এর সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গণতন্ত্রে ‘দুর্বলতা’ সর্বত্রই আছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল করা হয়েছে। সেটা বাতিল করে সরকার আইন পরিবর্তন করেছে, সংবিধানে পরিবর্তন করেছে। তখন থেকেই মূলত ধারাবাহিকভাবে...
আইনের শাসন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে, আর গণতন্ত্র ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মিয়ানমারে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপে’ সহযোগিতার অভিযোগে দেশটির সামরিক সরকার ৪ গণতন্ত্রপন্থির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বাংলাদেশের বর্তমান শাসন ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করে দেশে গণতন্ত্র গড়ার প্রয়োজনের কথা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।