তিনি বলেন, হরমুজ প্রণালী ঘিরে তেল সরবরাহে বিঘ্ন বা দামের ঝুঁকি থাকলেও সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দেশের বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম।
জাহাজের নাবিক ও ডিপোর অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গায়েব হয়ে যাচ্ছে শত শত কোটি টাকার তেল।
নতুন মূল্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে...
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
এতে খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ আছে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১০৫ টাকা থেকে ১ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা করা হয়েছে।
পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত আছে।
গতকাল রাত থেকেই কিছু কিছু পেট্রল পাম্প থেকে তেল দেওয়া হচ্ছিল না। আজ রোববার সকাল থেকে ঢাকার বেশিরভাগ পাম্পই কার্যত বন্ধ রয়েছে।
ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ২১ বস্তা রসুন, ১৭ বস্তা চিনি, ৩ বস্তা বিস্কুট ও ৩৭ লিটার ডিজেল পাওয়া যায়।
খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ফলে, এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম কমবে বা বাড়বে না।
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি পূরণের বেঁধে দেওয়া সময় পার হওয়ায় এ ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৩ দফা দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার জ্বালানি তেলে সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না।
বিপিসি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, বিপিসির ফান্ড সংকট নেই। মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার সংকটের কারণে এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না।