তারা 'তাৎক্ষণিকভাবে শহর খালি করা' বলতে কী বোঝাতে চান? এটা কি আদৌ সম্ভব?
মূলত ইরানের নাগরিকদের তেহরান ছেড়ে যেতে বলার পরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে চীন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ মন্তব্য করেন, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সূত্রে ট্রাম্প দেশে ফিরে গেছেন। মূলত মাখোঁর এই মন্তব্যের পরই ট্রাম্প বিষয়টি খোলাসা করেন।
টানা চার দিন ধরে চলছে ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষ আরও মারাত্মক হামলার হুমকি দিয়েছে।
শুক্রবার ট্রাম্প রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে ‘আমরা সব কিছুই জানতাম’।
ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তুত।
লস অ্যাঞ্জেলেসের পর যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশকিছু বড় শহর—নিউইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টায় একইরকম বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
শত শত বিক্ষোভকারী টানা দুই দিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
গতকাল ট্রাম্প বলেছেন, হার্ভার্ডে ভর্তি হতে বা পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন ভিসা পাবে না। এর মধ্যে কেউ ভিসা পেয়ে থাকলে তা বাতিল হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অস্বাভাবিক ও নজিরবিহীন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও হামাসকে সময় বেধে দিয়ে বলেছিলেন, একজন-দুইজন নয়, শনিবার বাকি সব জিম্মিকেই মুক্তি দিতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের (জেলেনস্কি প্রশাসনকে) বলেছি, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের বিরল খনিজ চাই আমি।’
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই হামাস তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১৫ ফেব্রুয়ারি জিম্মি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে একটি ঘোষণা দেয়।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, গাজাকে একটি ‘বড় আকারের আবাসন প্রকল্প’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর উচিত নতুন করে এ অঞ্চলের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেওয়া।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে তিনি উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র পেনি তৈরি করেছে, যার পেছনে দুই সেন্টেরও বেশি খরচ। এটা বড় ধরনের অপচয়!’
প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি ও প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি সহায়তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সিনেটর টেড ক্রুজ দ্য ডেইলি কলারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।
আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মার্কিন নাগরিক বা মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে সহায়তা করা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের ওপর আর্থিক এবং ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিবিসির বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না।