কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। পরোক্ষ বৈঠকে হামাস ও ইসরায়েল তাদের শর্তগুলো উপস্থাপনের পর দরকষাকষি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু থেমে নেই ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ।
হামলার অনেকগুলোই ঘটেছে ত্রাণের খোঁজে আসা ক্ষুধার্ত, দুর্বল ফিলিস্তিনিদের ওপর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, সম্ভবত অপহরণের এক মাসের মাথায় নাত্তাপং প্রাণ হারিয়েছিলেন।
গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর স্কুলটিকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছিল। গাজার অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এমন সময় এই হামলা এলো, যখন ত্রাণ সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ হুশিয়ারি দিয়েছে যে গাজায় হতাহতের সঙ্গে দ্রুত বাড়ছে এবং একইসঙ্গে কমে আসছে জরুরী ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণ।
আজকের এই গণজমায়েতে বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও অপরাধের প্রতিবাদে আজকের এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
'দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা' কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক অজ্ঞাতনামা উচ্চপদস্থ মিশরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা জানিয়েছে, ‘চুক্তির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
গাজার দুই বছরের কমবয়সী প্রতি ছয় শিশুর একজন অপুষ্টিতে ভুগছে এবং মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে, গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের সবাই প্রয়োজনের তুলনায় ‘খুবই সামান্য’ খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন, যা তারা...
গাজার দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ইসরায়েলের পরিকল্পিত সর্বাত্মক অভিযানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকে হুশিয়ারি আসলেও ইসরায়েল এই হামলা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ‘হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করে এই যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। রাফাহ শহরে চার ব্যাটালিয়ন হামাস যোদ্ধা অক্ষত রয়েছে, যাদের মোকাবিলা করতে বড় আকারে সামরিক অভিযান...
ভিডিওটিতে কোনো তারিখ উল্লেখ করা নেই এবং এর দৈর্ঘ্য ৩৭ সেকেন্ড
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন।
সর্বাত্মক ও নির্বিচার হামলায় গাজার বেশিরভাগ স্থাপনাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল
ইসরায়েলের নির্বিচার ও নিরবচ্ছিন্ন স্থল ও বিমানহামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ২২ হাজার ৩১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বরং, আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ‘পরিবেশ সৃষ্টির’ বিষয়ে বলা হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর সাত দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যুদ্ধবিরতির চাপ বেড়ে যায়।