সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব জায়গায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা মিলে যে দুর্নীতির দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছিল, সেই চক্র তো ভাঙেইনি, বরং কোথাও কোথাও এই চক্র আরও শক্তিশালী হয়েছে।
চারপাশে এত অন্যায়, এত কষ্ট—সেগুলো শুধু চোখে দেখে চুপ করে থাকলে ভেতরটা কেমন জানি ভারী হয়ে যায়।
সঠিক নির্বাচন হলে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবে, সে বিষয়ে কিছু ধারণা করা গেলেও সবসময় সব ধারণা সত্যি নাও হতে পারে।
জনগণকে সচেতন করেই যদি পৃথিবীতে মব বা অপরাধ থামানো যেত, তাহলে আর পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগের প্রয়োজন হতো না।
‘দেশের মানুষ কোনো একটি দলকে সত্যিই যদি ৯০ শতাংশ আসনে বিজয়ী করে, তাহলে তার পক্ষে স্বৈরাচার না হয়ে উপায় থাকবে না। কেননা, যখনই কোনো একটি দল এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তখন বিরোধী দল বলে কিছু থাকে না।’
বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন যেমন দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই, তেমনি শুধুমাত্র একটি দলের পরে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় এনে পুরোনো পদ্ধতির চক্রে দেশকে ঠেলে দেওয়াটাও কোনো কাজের কথা নয়।
নির্বাচন ও এসএসসি—দুটি বড় পরীক্ষা এক মাসে আয়োজন করা যাবে কি না, সেটি বিরাট প্রশ্ন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যে ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র একটি হয়েছে জুনে, একটি মে মাসে। বাকি ১০টি নির্বাচন হয়েছে তুলনামূলক শুকনো মৌসুমে।
শেখার জন্য সুযোগ দিতে হয়, আর সেই সুযোগ না দিলে আমরাও এক জায়গায় আটকে থাকব, সুযোগ হারাব।
বিগত এক দশক ধরে আইন পেশায় জড়িত অনেকেই এআই ব্যবহার করে কার্যকর ডেটা বিশ্লেষণ ও আইনি নথি পরীক্ষা করেছেন।
‘এমন দ্বান্দ্বিক বা সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ কারো জন্যই কাম্য নয়। দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। বরং গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে দেশে বাস্তবসম্মত পরিবর্তনের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এটিকে কাজে লাগানো দরকার।’
১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও শহীদের তালিকা প্রণয়নে বিলম্ব করা যাবে না এটি যেমন ঠিক, তেমনি তাড়াহুড়া করলেও ভুলভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ায়...
সমাজে অসংখ্য তৈলমর্দনের চিত্র পাওয়া যায়। এই চামচামি, চোরতন্ত্র বা ক্রেপ্টোক্রেসি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, তথা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার উচিত ২৫ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনা করা
আওয়ামী লীগের আমলে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে তার বাবার হত্যায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে যে মন্তব্য করলেন, সেখানে ‘বিটুইন দ্য লাইন’ অনেক কথা আছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা বোঝার জন্য এটিও একটি সূত্র।
‘৭০ অনুচ্ছেদ আরও সহজ এবং তুলনামূলক গণতান্ত্রিক করলেও যে সংসদে এমপিরা নিজের দলের বিপক্ষে যায় এমন বিষয়ে কথা বলবেন—তার সম্ভাবনা কম।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ও নেতাদের উচিত তাদের মন ও হৃদয়কে উন্মুক্ত করা, মুসলিম বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য গভীরভাবে বোঝা এবং আমরা যেমন আছি, সেভাবেই আমাদের গ্রহণ করা, যেভাবে তারা চায় সেভাবে নয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সেই মানুষগুলোকেই সুচিকিৎসার দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পথ আটকাতে হলো!
অস্বীকার করার সুযোগ নেই, সংবিধানে এই যে ১৭ বার সংশোধন আনা হলো, তার অনেকগুলোই আনা হয়েছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি ও দলের রাজনৈতিক স্বার্থে এবং সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকারও সংকুচিত হয়েছে।