‘এই রাষ্ট্রকে তারা সত্যিকার অর্থে গভীর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে৷ দেশে এখন আওয়ামী লীগ নাই, সব পুলিশ লীগ।’
আজকে আমরা এখানে উনার সাথে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাত ছিল। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি।
‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণকে অরক্ষিত রেখে এরা বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
‘যখন কোনো কিছু করতে পারে না, বের করতে পারে না, তখন দোষ চাপাতে হয়। তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে।’
‘এটা ভয়াবহ, একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
বর্তমান সংকট সমাধানে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
‘সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না।’
‘রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানান কায়দায় দমন-পীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।’
মামলাগুলোর মধ্যে ছয়টি পল্টন ও তিনটি রমনা থানায় দায়ের করা।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন ও রমনা থানায় এসব মামলা করে পুলিশ।
কয়েক দিনের মধ্যেই জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় উঠবে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করা হয়।
২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
অবিলম্বে মির্জা ফখরুলকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি ‘শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে’ বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
মির্জা ফখরুলের আটকের ঘটনাকে হয়তো অতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে নাও হতে পারে, কিন্তু এটা বড় কিছুর অনুঘটক হিসেবে কাজ করলেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই।
‘বিএনপি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি পালন করছে, করবে।’
‘বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।’