বিলিভ ইট অর নট

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আঁকা আত্মপ্রকৃতি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন আই-ডা একটি যন্ত্র; আপাতদৃষ্টিতে এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু সে নিজেই নিজের ছবি আঁকতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আঁকা আত্মপ্রকৃতি
ছবি: সংগৃহীত

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে অনেকেই চমৎকার সব শিল্পকর্ম তৈরি করছেন। বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে এই শিল্পকর্ম তৈরির কাজটি করা হচ্ছে। 

তবে আইডান মিলার নামের একজন প্রযুক্তিবিদ আই-ডা নামে মানুষ সদৃশ একটি রোবটের মাধ্যমে কম্পিউটারের তৈরি শিল্পকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়! 

আই-ডা কে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন আই-ডা একটি যন্ত্র; আপাতদৃষ্টিতে এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু সে নিজেই নিজের ছবি আঁকতে পারে।

পৃথিবীর প্রথম 'অতিবাস্তবীয়' রোবটটি তার 'ক্যারিয়ার' শুরু করেছিলো বিমূর্ত সব ছবি আঁকার মাধ্যমে। তারপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উন্নতি ঘটার পর সে হাত দিয়ে আত্মপ্রকৃতি বা সেল্ফ পোর্ট্রেট এঁকেছে।

যেভাবে কাজ করে

আই-ডা যেভাবে কাজটি করেছে তা কিন্তু খুব কঠিন নয়। তার চোখরূপী ক্যামেরাগুলো দিয়ে তাকায় একটি আয়নার দিকে, অন্যদিকে 'আই-ডা'-র অ্যালগরিদম কাগজের ওপর তার হাতটাকে চালাতে থাকে। 

কেনো তার অত্মপ্রকৃতি আঁকতে হলো? এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মানুষকে প্রশ্ন করা! মানুষের পরিচয় ও সৃজনশীলতার প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাওয়া হয়েছে তাকে ব্যবহার করে।

তার প্রস্তুতকারকদের একজন আইডান মিলার বলছেন- 'এটি বিশ্বের প্রথম কোনো সেল্ফ পোর্ট্রেট, যেখানে কোনো সেল্ফ নেই' তাতে অবশ্য কিছু যায়- আসেনি। আই-ডার কাজগুলো সারা বিশ্বেই জাদুঘর ও আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীর জন্য ঠাঁই পাচ্ছে বেশ সমাদরের সঙ্গেই।

এ ছাড়া আই-ডা কথা বলেছে যুক্তরাজ্যের সংসদে! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে সে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংসদে গিয়ে কথা বলার ঘটনাও এই প্রথম; তার নিজের প্রস্তুতকারী শিল্পী আইডান মিলারের পাশাপাশি হাউস অব লর্ডসকেও সে সম্বোধন করেছে! 

শিল্পের ধরন ও মাধ্যমে দিন দিন পরিবর্তন আসছে। আই-ডা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে চিত্রকর্ম তৈরির শুরুটা করলো- তা সে বিমূর্ত বা বাস্তবিক যেরমকই হোক। কিন্তু আই-ডার মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কেউ আগামী দিনে পিকাসো, দালি বা ভ্যান গঘ হয়ে উঠতে পারবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। 

তথ্যসূত্র: রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট

গ্রন্থনা: মাহমুদ নেওয়াজ জয়

Comments