রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ‘অকারণে’ প্রবেশ ও ঘোরাফেরা নিষেধ

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সঙ্গত কারণে কারও ক্যাম্পাসে আসার প্রয়োজন হলে প্রবেশ গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যরা পরিচয় যাচাই ও ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণ নিশ্চিত হয়ে প্রবেশ করতে দেবে।’
শনিবার সংঘর্ষ চলাকালে বিনোদপুর এলাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অকারণে প্রবেশ ও যত্রতত্র ঘোরাফেরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সঙ্গত কারণে কারও ক্যাম্পাসে আসার প্রয়োজন হলে প্রবেশ গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যরা পরিচয় যাচাই ও ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণ নিশ্চিত হয়ে প্রবেশ করতে দেবে।'

বিজ্ঞপ্তিতে একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ভাড়া ও সিটে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোটা এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেইটের পাশে সীমানা প্রাচীর লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছু দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে। আগুন দেওয়া হয় বিনোদপুর গেট সংলগ্ন পুলিশ বক্সেও। পুলিশের একটিসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘর্ষে ইট-পাটকেল, কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেটের আঘাতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে ভোর পর্যন্ত দেড় শ জনের বেশি শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেন। ৯০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনার জেরে রোববার দিনভর বিক্ষোভে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। সোমবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশের এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

 

Comments