শিক্ষা

স্কুলের জন্য বাবার দান করা ৩ একর জমি পালক ছেলের দখলে

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় পাচাবহুলা গ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে স্থানীয় সমাজসেবী ভোলা মন্ডল জয়তুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ৪ একর আবাদি জমি দান করেছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল সেই জমি থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের তহবিল করা হোক।
জয়তুন্নেছা স্কুল
পচাবহুলা জয়তুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: স্টার

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় পাচাবহুলা গ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে স্থানীয় সমাজসেবী ভোলা মন্ডল জয়তুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ৪ একর আবাদি জমি দান করেছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল সেই জমি থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের তহবিল করা হোক।

১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু, সেই জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে ভোলা মন্ডলের পালিত ছেলে ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে।

পচাবহুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বাদশা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোলা মন্ডলের মৃত্যুর পর তার পালিত ছেলে জয়নাল আবেদীন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছাড়া পুরো আবাদি জমি তথা ৩ একর জমি দখল করে নিয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, '১৯৮০ সালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারি থাকাকালে জয়নাল আবেদীন স্কুলের জমি তার নামে রেকর্ড করেন।'

'এরপর থেকে তিনি নিজের জমি দাবি করে আসছেন ও জোরপূর্বক চাষাবাদ করে আসছেন,' ডেইলি স্টারকে বললেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম।

ইসলামপুর থানার ওসি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অন্য জালিয়াতির মামলায় জয়নাল আবেদীন গত ৩০ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন।'

'জয়নাল আবেদীনের অনুপস্থিতিতে তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিয়াদ হোসেন আতঙ্ক সৃষ্টি করে জমি চাষ করছেন' উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, 'আমরা তাদের ক্ষমতার সঙ্গে পেরে উঠছি না।'

মোবাইল ফোনে রিয়াদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি পৈতৃক জমি হওয়ায় চাষাবাদ করছি। এই জমি আমার বাবার নামে রেকর্ড করা হয়েছে।'

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর নাসের বাবুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিদ্যালয় ও জয়নাল আবেদীনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সমাধানের চেষ্টা করছি।'

Comments