আমরণ অনশন

আ. লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ইডেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীরা

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার প্রতিবাদে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আমরণ অনশন করতে অবস্থান নিয়েছে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীরা।

আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কার্যালয়ে এসে প্রবেশের সময় বাধাপ্রাপ্ত হন বহিষ্কৃত এই নেত্রীরা৷ এরপর প্রতিবাদের মুখে তাদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। প্রতিবাদকারী এই নেত্রীরা প্রবেশের পরপরই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে গতকাল ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মারামারির ঘটনার পর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ও ১৭ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ৷ এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে অনশন কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হয়৷

আজ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছার আগে ইডেন ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সুম্মিতা বাড়ৈ বলেন, 'আমাদের সংবাদ সম্মেলনের শিরোনাম হলো "বিনা তদন্ত বহিষ্কার, নেপথ্যের কারণ", কি কারণে স্থায়ী বহিষ্কার৷ আমার অপরাধ, আমি কেন নির্যাতিত সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছি৷ ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ বিস্তর অভিযোগ৷ তা সত্ত্বেও তাদের বহিষ্কার করা হয়নি৷'

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন জান্নাতুল ফেরদৌসী নামের ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের একজন সহ-সভাপতি৷ এরপর রিভা ও রাজিয়ার উপস্থিতিতে জান্নাতুলকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায়৷

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ নেত্রী ক্যাম্পাসে রিভা ও রাজিয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে৷ এরপর বিকালে ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন৷

সংবাদ সম্মেলনের সময় ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেত্রীরা তাকে হেনস্থা করেন এবং তার কিছু অনুসারীকে মারধর করেন৷ ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের অভিযোগ, রিভার অনুসারীরা তাদেরকেও মারধর করেছে৷ এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন৷

 

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

8h ago