‘একজন শতভাগ দেশপ্রেমিক’

সৈয়দ হাসান ইমাম। ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী, সংগঠক, গুণী আবৃত্তিশিল্পী, শব্দসৈনিক সৈয়দ হাসান ইমাম। এদেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পেয়েছেন একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের আজ ৮৮তম জন্মদিন।

খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমামের জন্মদিনে তাকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন মামুনুর রশীদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ ও তারিক আনাম খান।

শতভাগ দেশপ্রেমিক মানুষ হাসান ইমাম: মামুনুর রশীদ

এক দীর্ঘ লড়াই ও সংগ্রামের নাম হাসান ইমাম। এদেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান বিরাট। বহুবছর ধরে তিনি আমাদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এদেশের শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। সেই সময়ে শিল্পীদের সংগঠিত করেছেন। শিল্পীদের কল্যাণে সবার আগে এগিয়ে এসেছেন। কাজেই তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না । তিনি জীবন শুরু করেছিলেন অভিনয় দিয়ে। পরে এসে

সংগঠন ও দেশের জন্য কাজ শুরু করেন। শতভাগ দেশপ্রেমিক মানুষ হাসান ইমাম। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারের সঙ্গে যুক্ত হন। তার প্রযোজনায় আমার লেখা নাটক হয়েছিল স্বাধীন বাংলা বেতারে। সাহসী মানুষ তিনি। জন্মদিনে তার জন্য ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ।

নায়ক থেকে আমাকে খলনায়ক বানিয়েছিলেন হাসান ইমাম: রাইসুল ইসলাম আসাদ

গুড্ডি সিনেমায় আমি ছিলাম নায়ক। কিন্তু লাল সবুজের পালা সিনেমায় আমাকে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করিয়ে নেন হাসান ইমাম। লাল সবুজের পালা সিনেমার পরিচালক ছিলেন হাসান ইমাম। এই মানুষটি আমাদের অগ্রজ। প্রথম জীবনে তিনি নায়ক ছিলেন। কেবল বাংলা সিনেমা নয়, উর্দু সিনেমাতেও নায়ক হিসেবে অভিনয়

করেছেন। তার অভিনীত উর্দু ও বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছি অনেকবার। লাল সবুজের পালা সিনেমা বানানোর সময় আমাকে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করতে বলার পর না করার সাহস পাইনি। কেননা-অনেক আগে থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, উদীচী থেকে শুরু করে নানারকম সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একসময় স্বাধীন বাংলা বেতারে যোগ দেন। দেশের জন্য তার অবদান অনেক।

প্রথম জীবনে হাসান ইমামকে নায়ক হিসেবে পেয়েছি: তারিক আনাম খান

প্রথম জীবনে হাসান ইমামকে পেয়েছি নায়ক হিসেবে। এক সময়ে তিনি ছিলেন এদেশের সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। টিকিট কেটে নিয়মিত তার সিনেমা দেখেছি। এখনো স্মৃতিতে সেসব সিনেমার কথা গেঁথে আছে। ধারাপাত,

জানাজানি, অনেক দিনের চেনাসহ অনেকগুলো সিনেমায় নায়ক ছিলেন তিনি। প্রথমত সুদর্শন এবং দ্বিতীয়ত অসাধারণ অভিনয়ও করতেন। তার কারণেই দিল্লি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে পড়তে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ তার কাছে। আবার জীবনের প্রথম নায়ক হিসেবে সিনেমায় অভিনয় করি তার হাত ধরে। একদিন হুট করেই বললেন, সিনেমা বানাচ্ছি তোমাকে নায়ক হিসেবে নেব। এরপর লাল সবুজের পালা সিনেমা বানালেন। আমাকে নায়ক হিসেবে নিলেন। তার জীবনের জার্নি অনেক বড়। ৮৮তম জন্মদিনে তার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা।

Comments

The Daily Star  | English

NBR traces Tk 40,000cr in suspected laundered assets abroad

The revelation came from the Central Intelligence Cell of the tax administrator

2h ago