ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে এখন সদস্য ৭ লাখ: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন যে রুশ আগ্রাসনের শুরুতে আক্রান্ত দেশটির সেনাবাহিনীর আকার যত বড় ছিল, এখন তা এর চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বড়।
গতকাল শনিবার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন মতে, গত শুক্রবার ইউক্রেনের সংবাদ সংস্থা ইউক্রেন টুয়োন্টিফোর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বরাত দিয়ে জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ 'সামরিক অভিযান'র শুরুতে 'যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার সেনা। অথচ প্রয়োজন ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার বা ২ লাখ ৬০ হাজার সেনা'।
জেলেনস্কি জানান, তিনি ২০২২ সালের শুরুতে আরও ১ লাখ সেনা জোগাড়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতেও রুশ সেনাবাহিনীকে থামানো সম্ভব হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
'আজ ৭ লাখ সেনা আমাদের পক্ষে লড়ছে। এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই যোদ্ধাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল', যোগ করেন জেলেনস্কি।

যুদ্ধের শুরুর দিকে জেলেনস্কি ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী সব সক্ষম ইউক্রেনীয়কে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের পার্লামেন্টে নতুন বিল জমা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যুদ্ধের শুরুতে যেসব পুরুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছেন, তারা যদি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ফিরে না আসেন, তাহলে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।
প্রায় ৩ মাস আগে মিনস্ক চুক্তির শর্ত পূরণ করতে না পারার অভিযোগে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে।
ক্রেমলিনের দাবি, কিয়েভ যেন নিজেদের নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে এবং দেশটি কখনোই মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। কিয়েভের দাবি—সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে।
Comments