ব্যাংক ঋণে সুদের হার ৩ শতাংশ কমালো রাশিয়া

ব্যাংক অব রাশিয়ার মূল ফটক
ব্যাংক অব রাশিয়ার মূল ফটক। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ দেশটির বার্ষিক সুদের হার ৩ শতাংশ কমিয়ে ১১ শতাংশ করেছে। ব্যাংক অব রাশিয়ার বোর্ড অব ডিরেক্টরদের এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা তাস এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্যে বলা হয়, 'ব্যাংক অব রাশিয়ার বোর্ড অব ডিরেক্টররা কি-রেট বা সুদের হারকে ৩০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ১১ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেটি ২৭ মে ২০২২ থেকে কার্যকর হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সার্বিক ভাবে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকায় রুবলের বিনিময় মূল্যের ওপর চাপ কমেছে এবং একইসঙ্গে, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।'

অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আগের তুলনায় কম সুদে ঋণ নেওয়া যাবে, ফলে দেশের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়তে পারে।  

নিয়ন্ত্রক সংস্থা আগামী বৈঠকগুলোতে সুদের হার আরও কমাতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকটি ১০ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

এপ্রিলে রাশিয়ার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায় তবে ২০ মে'র হিসেব অনুযায়ী, এই হার কমে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রাক্কলিত হিসাবের চেয়ে দ্রুত গতিতে মূল্যস্ফীতি কমছে দেশটিতে।

ব্যাংক অব রাশিয়ার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান মুদ্রানীতি বজায় রাখা হলে ২০২৩ সালে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে এবং ২০২৪ সালে ৪ শতাংশে ফিরবে। 

তবে এখনও রুশ অর্থনীতির জন্য বাহ্যিক পরিস্থিতি প্রতিকূল। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে রয়েছে বড় আকারের সীমাবদ্ধতা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংক অব রাশিয়ার আরও বলে, 'আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি কিছুটা কমে এসেছে, যার ফলে মূলধন নিয়ন্ত্রণের কিছু চলমান উদ্যোগকে শিথিল করা যেতে পারে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

3h ago