২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আগের বছরের তুলনায় ৩৩ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে ছিল রেকর্ড সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ফ্রাঙ্ক। ২০২২ সালে কমলেও, তার আগের বছর ২০২১ সালে ৮৭১...
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারের এক লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনার লক্ষ্যমাত্রা সংকটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়িয়ে দেবে।
আগামীকাল ২ জুন পেশ করতে যাওয়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ।
করোনা মহামারি শুরুর অর্থবছর বাদ দিলে গত ৩৪ বছরের মধ্যে তা সর্বনিম্ন।
অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে—রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তার কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ ৩৪ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার হবে।
চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ধীরগতি বাস্তবায়ন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, জুনের মধ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে।
ঋণের সুদ পরিশোধে খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় বাজেটের আকার ছোট করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
চলতি অর্থবছরে সরকারের বাজেট ঘাটতি মেটাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তিন উন্নয়ন অংশীদারের কাছে থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আসছে।
সুদের হারের বেধে দেওয়া সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার একটি কারণ উল্লেখ করে সরকারকে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর।
বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চলমান ধারা মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়াতে পারে এবং আগামী অর্থবছরে ডলার সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীকে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েই হাজির হতে হবে। কারণ, বিদায়ী অর্থবছরে গৃহীত ব্যবস্থা প্রত্যাশিত প্রতিকার এনে দিতে পারেনি।
আগামী অর্থবছরে মোট ভর্তুকি বরাদ্দ থাকবে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যা ছিল ৮১ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ব্যাপক হারে ঋণ নেওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশ থেকে কমেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এ খাতে বাংলাদেশের বরাদ্দ কম নয় বলে মনে করেন তারা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অব্যবহৃত রয়েছে।