ইসলামি ব্যাংকগুলোতে নগদ সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ

নগদ সংকটে পড়া দেশের শরীয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা সুরক্ষিত করতে আরেকটি নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
‘ফেসবুক পোস্টের’ জেরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

নগদ সংকটে পড়া দেশের শরীয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা সুরক্ষিত করতে আরেকটি নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স পেতে প্রণোদনা হিসেবে সেই অর্থ গ্রহণকারীদের যে তহবিল দিয়ে থাকে, নতুন এই উদ্যোগের আওতায় সেই তহবিল জামানতের হিসেবে রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নিতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের রেমিট্যান্সের পরিমাণের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়, এরপরে ঋণদাতারা সাধারণত ৩ মাস পরে সরকারের কাছ থেকে তহবিল ফেরত পায়।

সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর তহবিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটকে যায়।

তবে, শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে মুদারাবাহ লিকুইডিটি সাপোর্ট (এমএলএস) সহায়তার আওতায় ৩ মাসের মধ্যে ওই অর্থ ব্যবহার করার অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে আজ সোমবার নোটিশ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ ছাড়া, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায়ও শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো তারল্য সহায়তা পাবে। করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ঋণদাতারা কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেওয়ার জন্য প্যাকেজগুলো ব্যবহার করে থাকে।

ব্যাংকগুলো প্রথমে তাদের থেকে ঋণগ্রহিতাদের মধ্যে তহবিল বিতরণ করে এবং তারা ৩ মাস পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রণোদনা প্যাকেজের অধীনে তহবিল ফেরত পায়।

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য ওই অর্থ জামানত রাখবে।

ঋণদাতাদের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় তাদের বিতরণ করা নগদ প্রণোদনা ও ঋণের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিল পেতে ২টি প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যবহার করা যাবে, যেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথাক্রমে বড় ঋণগ্রহিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্দোক্তাদের (এসএমই) জন্য চালু করেছে।

এমএলএস পরিশোধের মেয়াদ হলো ৭, ১৪ ও ২৮ দিন। একটি ব্যাংককে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ টাকা নিতে হবে।

এর জন্য ৩ মাসের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে ইসলামি ব্যাংকগুলো যে মুনাফা গ্রাহকদের দিয়ে থাকে, সেই অনুপাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে মুনাফা দেবে।

তারল্য সংকটের সম্মুখীন ইসলামি ব্যাংকগুলোর সহায়তায় গত বছরের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি' নামে আরেকটি টুল চালু করে।

এ ছাড়া, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে 'লেনডার টু দ্য লাস্ট রিসোর্ট' সুবিধার আওতায় ব্যাংকগুলোকে বড় অঙ্কের তহবিল সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশে ১০টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটির আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে আসার পর আমানতকারীরা অর্থ উত্তোলন করতে শুরু করায় তারল্য সংকট শুরু হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তার অধীনে যেসব ব্যাংক তারল্য সহায়তা পেয়েছে তারা হলো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

Comments