লোকসানের আশঙ্কায় হিলি দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ করেছেন আমদানিকারকরা। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ বন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি।
ফাইল ফটো

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ করেছেন আমদানিকারকরা। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ বন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আমদানিকারকরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমায় লোকসানের আশঙ্কা থাকায় তারা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। 

গত ২৬ জুন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২৭ দশমিক ১৬৬ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। ঈদ উপলক্ষে ৬ দিন বন্দরের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

কিন্তু, সোমবার বন্দর খোলা থাকলেও কোনো মরিচ আমদানি হয়নি। এমনকি আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি বলে হিলি বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনো এর কোনো কারণ জানেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কর্মকর্তারা জানান, বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য প্রায় ১১ জন আমদানিকারক আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা যৌথভাবে ২৬ জুন প্রায় ২৭ মেট্রিক টন আমদানি করেন।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে আমদানিকারকরা জানান, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এদিকে বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে দাম কমেছে।

স্থানীয় বাজারে মঙ্গলবার ১ কেজি কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়।

আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতের বাজারে দাম বেশি হওয়ায় কাঁচা মরিচ আমদানি করলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।'

তিনি জানান, ভারতের বাজারে ১ কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১১০-১২০ টাকা।

এছাড়া পরিবহন খরচ, আমদানি শুল্ক, পোর্ট চার্জসহ অন্যান্য অতিরিক্ত চার্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সব মিলিয়ে প্রতি কেজির আমদানি খরচ দাঁড়ায় ১৮০-১৯০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যদি কাঁচা মরিচ আমদানি করি তাহলে অবশ্যই প্রতি কেজি ৫০ টাকা ক্ষতি হবে।'

আরেক আমদানিকারক বাবলু রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৬ জুন আমদানি করা কাঁচা মরিচ তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।

এরপর দেশের বাজারে মরিচের দাম কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সোমবার বন্দর খোলার পর আমরা ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু দেশের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নেই।'

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বন্দর দিয়ে প্রায় ১১ আমদানিকারক প্রায় ৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এর মধ্যে আমদানি হয়েছে মাত্র ২৭ মিলিয়ন টন।

তবে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ এখনো ২৫০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

গত শনিবার স্থানীয় বাজারে ১ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। পরদিন রোববার এর দাম কমে দাঁড়ায় ৩৮০-৪০০ টাকায়। সোমবার তা ২৫০-২৮০ টাকায় নামে।

Comments