রপ্তানি পণ্য পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ২ স্ক্যানার চালু

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি কনটেইনারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্ক্যানিং করা সম্ভব হবে। এটি বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো ফিক্সড স্ক্যানারের মাধ্যমে জাহাজীকরণের আগে রপ্তানি কনটেইনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম বন্দরের দুই প্রবেশপথে দুইটি ফিক্সড স্ক্যানার চালু হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বন্দর দিয়ে জাহাজীকরণের আগে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরীক্ষা করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) চীনা প্রতিষ্ঠান নিউটেক কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ৮৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় স্ক্যানার দুইটি কিনেছে।

সেপ্টেম্বরে আসা স্ক্যানারগুলোর একটি বন্দরের চার নম্বর গেট ও অন্যটি সিপিআর গেটে বসানো হয়েছে।

গতকাল শনিববার দুপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বন্দরের চার নম্বর জেটি গেট এলাকায় স্ক্যানার দুটি উদ্বোধন করেন।

চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।

উদ্বোধনের পর চবক পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফুর রহমান খান স্ক্যানার দুইটি পরিচালনার ভার চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফয়জুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি কনটেইনারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্ক্যানিং করা সম্ভব হবে। এটি বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের সব প্রবেশপথ নয়, দেশের অন্যান্য সমুদ্র ও স্থলবন্দরকেও পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনা হবে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বন্দরের চারটি পুরোনো স্ক্যানার বদলাতে চারটি নতুন ফিক্সড স্ক্যানার কিনেছে।

এতদিন বন্দরে পাঁচটি ফিক্সড স্ক্যানার ছিল। সেগুলো দিয়ে শুধু আমদানি কনটেইনার স্ক্যানিং করা হতো।

এ ছাড়াও, দুটি ভ্রাম্যমান স্ক্যানার আছে।

প্রকল্প পরিচালক ও চবক পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফুর বলেন, নতুন দুই স্ক্যানারের প্রতিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘণ্টায় ১৫০টি কন্টেইনার স্ক্যান করতে পারবে।

আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন অনুমোদিত আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর সুরক্ষা (আইএসপিএস) কোড মেনে চবক ২০০৪ সাল থেকে বন্দর সুরক্ষার কাজ করে যাচ্ছে।

আইএসপিএস কোড অনুসারে সব রপ্তানি কনটেইনার স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড দল আইএসপিএস কোডের বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে।

২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনের সময় মার্কিন কোস্টগার্ডের দল সেখানে রপ্তানি কন্টেইনার স্ক্যানিংয়ের সুপারিশ করেছিল।

Comments