শাবনূর ম্যামের সিনেমা দেখে নিজেকে নায়িকা কল্পনা করতাম: অধরা

বাংলা সিনেমার নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী অধরা খান। ইতোমধ্যে তার অভিনীত ৩টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে একটি সিনেমা। এছাড়াও, আরও ৩টি সিনেমার শুটিং শেষের পথে। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের কথা বলেছেন অধরা।
অধরা খান। ছবি: ফেসবুকে থেকে নেওয়া

বাংলা সিনেমার নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী অধরা খান। ইতোমধ্যে তার অভিনীত ৩টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে একটি সিনেমা। এছাড়াও, আরও ৩টি সিনেমার শুটিং শেষের পথে। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের কথা বলেছেন অধরা।

আপনার প্রথম সিনেমা কোনটি?

আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা নায়ক। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। পরিচালক ছিলেন ইস্পাহানি-আরিফ জাহান। তবে, প্রথম অভিনীত সিনেমা ছিল পাগলের মতো ভালোবাসি। এটি অবশ্য পরে মুক্তি পায়।

অধরা খান। ছবি: সংগৃহীত

নাটক বা মডেলিং না করে শুধু সিনেমাতে কেন?

নিজেকে বড় পর্দায় দেখার তীব্র ইচ্ছে ছিল। ছোটবেলায় নাচ শিখেছি। ভাবতাম কখনো যদি শোবিজে নাম লেখাই তাহলে সিনেমা দিয়েই শুরু করব। যারা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তারাও সিনেমার জন্য দিয়েছেন। এ কারণেই সিনেমাতে ঝোঁক।

আপনার পরিবারের কেউ কি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত আছেন?

না, না। আমার পরিবারের কেউ সিনেমাতে নেই। কেউ ভাবেনি মিডিয়ায় কাজ করব। ছোটবেলায় বিটিভিতে সিনেমা দেখতাম। একুশে টেলিভিশনেও দেখতাম। শাবানা, ববিতা ও শাবনূরের সিনেমা দেখে নিজেকে ওভাবে কল্পনা করতাম। বিশেষ করে শাবনূর আমাদের সময় বড় তারকা ছিলেন। শাবনূরের সিনেমা দেখে নিজেকে নায়িকা কল্পনা করতাম।

অধরা খান। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম সিনেমার জন্য কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে?

প্রথম সিনেমার জন্য স্ট্রাগল করতে হয়নি। আমার নাচের শিক্ষকের মাধ্যমে প্রথম সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাই। কিন্তু স্ট্রাগলটা করতে হয়েছে পরে। আমরা যারা রাইজিং, কাজ শুরুর পর তাদের স্ট্রাগল করতে হয়। সেটা হচ্ছে টিকে থাকার স্ট্রাগল। কেননা- রাইজিংদের গল্প বা চরিত্র পছন্দের সুযোগ কম থাকে। এটাই বড় সমস্যা। তারপরও আমি ভাগ্যবতী যাদের সঙ্গে কাজ করেছি সবাই প্রফেশনাল। সবাই সহযোগিতা করেছেন।

সিনেমা নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?

একটা স্বপ্ন ছিল সিনেমায় অভিনয় করব, তা পূরণ হয়েছে। এখন স্বপ্ন হচ্ছে ভালো সিনেমা করতে চাই। দর্শকদের মনে গেঁথে থাকার মতো চরিত্রে ও গল্পে অভিনয় করতে চাই।

অধরা খান। ছবি: সংগৃহীত

বেশিরভাগ অভিনয়শিল্পীরা ওটিটির দিকে ঝুঁকছেন,আপনার চাওয়া কী?

বর্তমানে ওটিটি বড় অবদান রাখছে। দর্শকের জন্য বিনোদনের বড় খোরাক ওটিটি। ওটিটি আসার পর দর্শক বিনোদন মাধ্যমের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। ২ বছর কোভিডের সময়ে সিনেমার মন্দা অবস্থা গেছে। ওটিটি ওই সময়ে দর্শক ধরে রেখেছিল। আমিও চাই সিনেমার পাশাপাশি এই মাধ্যমে অভিনয় করতে।

গত কয়েক মাস ধরে সিনেমায় সুবাতাস বইছে, আপনার কি মনে হয়?

অবশ্যই। আমি একমত। সিনেমায় সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এটা অব্যাহত থাকলে ঢাকাই সিনেমা অনেক দূর যাবে। আমি আশাবাদী। সর্বশেষ হাওয়া সিনেমা দেখেছি হলে গিয়ে। হাওয়া দেখে অভিভূত হয়েছি। মেজবাউর রহমান সুমনের ফ্যান হয়ে গেছি।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago