তিস্তার পানি এখন বিপদৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অতসীর সকাল শুরু হয় পানি সংগ্রহের দীর্ঘ যাত্রায়, আর দিন শেষ ক্লান্ত শরীরে। ‘খুব ইচ্ছা ছিল কলেজে পড়ব,’ বলে কিছুটা চুপ হয়ে যায়, চোখের আলো ঝাপসা হয়ে যায় যেন।
এছাড়া, জেলার ২ হাজার ৩০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে।
‘আশা ছিল, এবারের আউশ ধান ঘরে তুলে পরিবারের খাবারের জন্য রেখে বাকি ধান বিক্রি করে ঋণ শোধ করব। তা আর হলো কই। সর্বনাশা বৃষ্টি সব স্বপ্ন ভাসিয়ে নিলো। আমি এখন দিশেহারা।’
উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী সব লঞ্চ, বিশেষ করে হাতিয়া, লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান ও বেতুয়াসহ দশটি রুটের ১৩টি সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলার সুবর্ণচর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় সুবর্ণচর,...
জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মানুষ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও সদর উপজেলার। সদরের ৯৬৩টি ও কলমাকান্দায় ৩২২টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকে।
‘বিকেল ৪টার দিকে বজ্রপাতে মারা যাওয়া চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছিল।’
শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণার সাম্প্রতিক বন্যায় এখনো ৬৩ হাজার ১৭১ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার পূর্বধলা, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্লাবিত ৫০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক এ বন্যায় এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ সড়ক ভেঙে গেছে।
নেতাই নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে।
রোববার দুপুর পর্যন্ত শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার অন্তত আরও ছয়টি ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
আরডিআরসি রাজধানীর ৯টি জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে চলমান সমস্যার সমাধান দিয়েছে।