পিডিবির বকেয়ার খড়গে বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ

গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তবে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দাবি, তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে তার চেয়ে বেশি টাকা পায়। আর্থিক সংকটের কারণে পিডিবি সেটা পরিশোধ করতে পারছে না।

এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত রিজেন্ট পাওয়ারের গ্যাসচালিত বারবকুণ্ড ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে। 

গ্যাস বিতরণ কোম্পানিটি বলছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রায় ৮ কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়া রেখেছে।

অন্যদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুতের দাম বাবদ ১৯ কোটি টাকা পায়, সেটা না পেলে গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারবে না। এ নিয়ে গত ১১ দিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে।

কর্ণফুলী কোম্পানি গত ১৮ মে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে অন্যতম বড় বিলখেলাপী। আমরা বেশ কয়েক দফা তাদের সঙ্গে বসেছি, নোটিশ দিয়েছি। বকেয়া আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।'

'বকেয়ার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না, 'বলেন তিনি।

রিজেন্ট পাওয়ারের অর্থ বিভাগের প্রধান সুমিত রঞ্জন বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাদের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পিডিবির কাছে বিদ্যুতের বিল বাবদ মোট ১৪০ কোটি টাকা পায়।'

'গত অক্টোবর থেকে পিডিবির কাছে বারবকুণ্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া ১৯ কোটি টাকা। আমরা টাকার অভাবে কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না, ব্যাংক লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছি না। আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কিছু যন্ত্রপাতি আমদানি করেছিলাম, সেগুলোও বন্দর থেকে খালাস করতে পারছি না, ওগুলোর জন্য জরিমানা গুনতে হবে।'

সুমিত আরও বলেন, 'আমরা পিডিবিকে বিষয়টি অবহিত করেছি। গ্যাস সংযোগ পেতে তাদের সহযোগিতা দরকার হবে। আর ইতোমধ্যে আমরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস বিল পরিশোধ করে দিয়েছি।'

বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গত মার্চ মাস পর্যন্ত পিডিবির ১৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (অর্থ) সেখ আকতার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কাগজপত্র না দেখে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট বকেয়ার কথা তিনি বলতে পারবেন না।

সার্বিক বকেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা সরকারের কাছ থেকে যে পরিমাণ ভর্তুকি পাব, ঠিক ওই পরিমাণ টাকাই বকেয়া রয়েছে। ভর্তুকি পেলে বকেয়া শোধ করে দেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Tariff Rationalisation by NBR Ahead of LDC Graduation

Govt to rationalise tariffs on around 350 items

In the past two years, the NBR brought down tariffs on 60 items within the bound tariff rates based on the panel's suggestion.

11h ago