যেনতেনভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা: ব্যর্থতা কোথায়?

যেনতেনভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা: ব্যর্থতা কোথায়?

২০১৯ সালে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব চরম আকার ধারণ করে এবং সে বছর বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যাক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় বছরটি বাংলাদেশের জন্যও ছিল সতর্কবার্তার। তারপরও ঘুম ভাঙেনি সরকারের।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ঢাকার ২ মেয়র অবশ্য দাবি করেছেন, তারা ডেঙ্গু মোকাবিলায় পর্যাপ্ত কাজ করছেন। তবে ডেঙ্গুর প্রাথমিক বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশা এখননো বংশবিস্তার করে চলেছে। ইতোমধ্যে ২০১৯ সালের রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গু। 

কীটতত্ত্ববিদদের মতে, এডিস মশা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মধ্যে পরিকল্পনা, সমন্বয় ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।

সুনির্দিষ্ট যেকোনো বড় মাপের কাজের সূচনা করতে হয় একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে, যেটি একটি নির্দেশিকা হিসেবেও কাজ করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের 'ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট পলিসি'; যেটির স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কেবল খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। সেটা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

মানুষ মনে করে ২ সিটি করপোরেশনের মেয়র মশার উপদ্রব থেকে মানুষকে রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় এটা কেবল প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ।

ঢাকা মশক নিরারণী দপ্তরের কথাই ধরা যাক। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকেশ্বরী এলাকার দোতলা ভবনটিই মশার প্রজনন ক্ষেত্র ছিল। 

ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত ‍১ লাখ ২৩ হাজার ৮০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৯৩ জন মারা গেছেন, যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ।

মশা নিয়ন্ত্রণ এখতিয়ারের মধ্যে না পড়লেও এ ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে তাদের কোনো ডাটাবেইজ না থাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়।

ঢাকার মাত্র ৫৭টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৮১টি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিদিনের ডেঙ্গু বুলেটিন তৈরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  

তবে সারা দেশে ১৬ হাজার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক ডেঙ্গু চিকিৎসা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি সাবেক সভাপতি মঞ্জুর এ চৌধুরীর মতে, অন্যান্য দেশে ডেঙ্গু একটি প্রতিবেদন 'রিপোর্টযোগ্য' রোগ, যার অর্থ প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীর ডেটা রেকর্ড করা আবশ্যক।

'আক্রান্তদের সঠিক সংখ্যা, তাদের অবস্থান এবং ধরন সংক্রান্ত তথ্যের অভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো।'

তিনি আরও বলেন, 'সব ডেঙ্গু রোগীর তথ্য ছাড়া এটা নির্মূল করা সম্ভব নয়।'

 

সংক্ষেপিত: মূল প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন Botched Dengue Response: Where does the fault lie?

 

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

6h ago