‘পলিশ করার কারণে প্রায় ১২ লাখ টন চাল অপচয় হচ্ছে।’
কারওয়ান বাজারের এক পোল্ট্রি মুরগি জসিম উদ্দিন জানান, তার বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
রাজধানীর খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ডিমের মজুদ আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন।
‘আমরা অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস—প্রয়োজনে তিন মাসের বাফার স্টক আমরা তৈরি করব।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্য অনুসারে, মেঘনা গ্রুপ সাড়ে ৪০ শতাংশ ও সিটি গ্রুপ সাড়ে ২৮ শতাংশ অপরিশোধিত চিনি আমদানি করছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে প্রায় ২৫ লাখ সাত হাজার টন সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করা হয়। এর ৮০ শতাংশই চার প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে।
‘এটা ইমিডিয়েট ইফেক্ট হবে, কারণ মিল গেট থেকে মাল বের করার সময় ভ্যাট দিয়ে বের করতে হবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সারা বছর আমদানির পরিকল্পনা
দেশি নতুন পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে কেজি ৮০ টাকায় ও খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপকদের ভাষ্য, মৌসুম শেষ হওয়ায় পুরাতন আলুর দাম বেড়েছে।
বাজার স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে এই পণ্যটির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার স্বার্থে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জেলা প্রশাসন গতকাল রোববার বিকেলে এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বাজারে হঠাৎ চাহিদা তৈরি হওয়ায় কৃষক খেত থেকে নতুন পেঁয়াজ আগেই তুলে ফেলছে।
আজ সকালে পেঁয়াজের অন্যতম প্রধান পাইকারি হাট পাবনার আতাইকুলায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে ৫টি পাইকারি দোকানকে জরিমানা করা হয়।
‘নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে কমপক্ষে আরও দুমাস সময় লাগবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
‘আজ সকালে কাপাসিয়া বাজারে যাই পেঁয়াজ কিনতে। দুই কেজি কেনার ইচ্ছে ছিল। কিনতে পারি নাই। এক কেজি ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।’
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়িয়েছে ভারত।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্যমূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।