ডাক্তার-নার্সবিহীন ২ চক্ষু হাসপাতালে তালা, ২ লাখ টাকা জরিমানা

বৈধ রেজিস্ট্রেশন, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স না থাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ চোখের ড্রপ দিয়ে চোখের চিকিৎসা করার অভিযোগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ২টি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ অন্ধকল্যাণ চক্ষু হাসপাতাল ও বেগমগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারীরা আগেই পালিয়ে যান। এর মধ্যে বেগমগঞ্জ অন্ধ কল্যাণ চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ইয়াছিন আহম্মেদকে ১ লাখ টাকা এবং বেগমগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক তোফায়েল আহাম্মদকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত আজ দুপুরে চৌমুহনী পৌরসভায় নাজিরপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রগুলো জানায়, হাসপাতাল খুলে ইয়াছিন আহম্মেদ ও তোফায়েল আহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত চোখের চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা জাবেদ হোসেন ও পুলিশ নিয়ে ইউএনও মো. ইয়াসির আরাফাত বেগমগঞ্জ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালে অভিযান চালান। এ সময় হাসপাতালে ভিতরে কোনো ডাক্তার বা বৈধ নার্স পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার জাবেদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের হাসপাতালে একজন ডিউটি ডাক্তার এবং ৩ জন করে ডিপ্লোমা নার্স থাকার কথা থাকলেও কোনোটাই ছিল না। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা কেউ ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ চোখের ড্রপ দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা দৌড়ে পালিয়ে যান।

ইউএনও ইয়াছির আরাফাত ডেইলি স্টারকে বলেন, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছিল। চিকিৎসক না থাকলেও ৫ থেকে ৬শ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছিল। এটা বড় ধরনের প্রতারণা। হাসপাতাল দুটির বৈধ কোনো কাগজপত্রও নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Aid allocation to be trimmed in next budget

The plan comes as $42.85b foreign funds remained unused at start of current FY

15h ago