হবু বরের প্রস্তুতি

বিয়েতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের নজর থাকে বর ও কনের দিকে। তাই নিজের মধ্যে একটু ভিন্নতা আনতে বরের প্রয়োজন বাড়তি কিছু যত্ন। বিশেষ এই দিনে একটু ভিন্ন লুক আনতে পুরুষেরা ফেশিয়াল, হেয়ার কেয়ার করে থাকেন। বিয়ের সময়টাতে নিজের যত্নে অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন কিছু করা যেতেই পারে।
ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

বিয়েতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের নজর থাকে বর ও কনের দিকে। তাই নিজের মধ্যে একটু ভিন্নতা আনতে বরের প্রয়োজন বাড়তি কিছু যত্ন। বিশেষ এই দিনে একটু ভিন্ন লুক আনতে পুরুষেরা ফেশিয়াল, হেয়ার কেয়ার করে থাকেন। বিয়ের সময়টাতে নিজের যত্নে অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন কিছু করা যেতেই পারে।

বিয়ের আগে একজন হবু বরকে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, তা নিয়েই আজকে এই আয়োজন।

* বিয়েতে নতুন কোনো হেয়ার কাটের চেষ্টা করতে চাইলে মাস খানেক আগে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারবেন সেটি নিজের সঙ্গে মানানসই কি না।

* দাড়ি ও গোঁফের ক্ষেত্রেও একইভাবে নতুন স্টাইল অনুসরণ করতে চাইলে, করতে হবে মাস খানেক আগে। এতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে। মানানসই না লাগলে পছন্দমতো তা পরিবর্তন করা যাবে।

ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

* চুল-দাঁড়ি কাটার চূড়ান্ত কাজটি বিয়ের দিন সকালে না করে একটু আগেই করতে হবে। যাতে কাটটা সুন্দর মতো সেট হয়।

* ফ্রুট ফেশিয়াল বা হারবাল ফেশিয়াল করে নিতে পারেন বিয়ের আগে দুয়েকবার৷ একান্তই না পারলে ডিপ ক্লিনজিং ফেশিয়াল করিয়ে নিতে পারেন যেকোনো মেনস বিউটি স্যালুন থেকে।

* অনুষ্ঠানের ১ বা দেড় মাস আগে থেকে ১৫ দিন পর পর হেয়ার স্পা অথবা মানানসই হেয়ার ট্রিটমেন্টও নেওয়া যায়। স্পা, ম্যাসাজ, ফেসিয়াল কেবল বিয়ের দিন সুন্দর দেখানোর জন্যই নয়, মানসিক চাপও কমায়।

ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

* এই সময়ে ম্যানিকিউর, পেডিকিউরর করাতে পারেন। ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর হাত ও নখের শুষ্ক এবং মৃত ত্বক থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

* হবু বর একটু হার্ড স্ক্রাব করতে পারেন। ত্বকে খুব বেশি মৃতকোষ থাকলে হার্ড স্ক্রাব ভালো ফল দিতে পারে। তবে তা সপ্তাহে ২ দিনের বেশি নয়। হার্ড স্ক্রাবের দানাগুলো খুব শক্ত হয় বলে সেগুলো কখনোই সরাসরি ত্বকে না লাগিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। ৩০ সেকেন্ডের মতো আলতো ম্যাসাজেই হয়ে যাবে স্ক্রাবিং। এর জন্য অ্যাপ্রিকট স্ক্রাব কিনে নিতে পারেন বাজার থেকে। তবে, ত্বকে মৃতকোষের পরিমাণ কম থাকলে মাইল্ড স্ক্রাব ব্যবহার করাই ভালো।

* ছেলেদের বিয়ের পোশাক, চুলের কাট, জুতা-ঘড়ি কেমন হবে, এসব চিন্তা থাকেই। কম-বেশি সবাই এসবের মুখোমুখি হন। সুযোগ থাকলে আগে একবার ট্রায়াল দিয়ে দেখে নিতে পারেন।

* ঘুম হচ্ছে সুস্থতার চাবিকাঠি। রাত জাগলেই অস্থিরতা বাড়বে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব ধরনের ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

* চুলের ঘনত্বের জন্য ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ঘন ও কালো আইল্যাশ এবং আইব্রোর জন্যও ক্যাস্টর অয়েল লাগানো যায়। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে ফেলতে হবে। তেল অনেকক্ষণ রাখলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

* ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যখন হবু বর, এক্ষেত্রে গুরুত্ব আরও বেশি। শুষ্ক ত্বকে সাধারণত যেকোনো ধরনের ময়েশ্চারাইজার উপযোগী হলেও, তৈলাক্ত ত্বকে জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজে দেবে।

* পর্যাপ্ত পানি ও শাকসবজি খেতে হবে। এগুলো বিয়ের কয়েকদিনের ভারী খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শরীরকে আদ্রর্তাশূন্য ও অস্বস্তি থেকে মুক্ত রাখবে।

* ঠোঁট খুব কালো হলে, করতে হবে ঠোঁটের যত্ন। লেবু কেটে নিয়ে, কাটা অংশে একটু চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষে করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক স্ক্রাবিং। এ ছাড়াও নিয়মিত লিপবাম বা লিপওয়েল এনে দিবে প্রাণোচ্ছল হাসি।

* পূর্ব-পরিকল্পনা থাকলেও বিয়ের দিন নতুন নতুন কাজ ও সমস্যা তৈরি হয়। সেগুলো সমাধানে দায়িত্বশীল কাউকে কাজ ভাগ করে দিন। এতে ফটোশুট, অতিথি আপ্যায়নসহ অন্যান্য সামাজিকতায় আপনি মন দিতে পারবেন৷

বিয়েতে প্রিয়দর্শিনী নারীর সঙ্গে নিজেকে গুছিয়ে রাখতে একটু যত্নশীল হতে ক্ষতি কী।

Comments