জাপানের ‘মুন-স্নাইপার’ চন্দ্রাভিযান তৃতীয়বারের মতো স্থগিত
জাপানের মহাকাশ সংস্থা তৃতীয়বারের মতো 'মুন স্নাইপার' চন্দ্রাভিযান স্থগিত করেছে। আজ রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পিত সময়ের ঠিক আধ ঘণ্টা আগে এই ঘোষণা আসে।
আজ সোমবার বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানায়, প্রবল বাতাসের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টার কোনো তারিখ জানায়নি সংস্থাটি।
গত সপ্তাহে চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
জাপানের দক্ষিণে অবস্থিত তানেগাশিমা দ্বীপ থেকে এই রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল। এটি জাক্সা, নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসে) যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি গবেষণা স্যাটেলাইট বহন করার কথা ছিল।
রকেট উৎক্ষেপণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তা তাতসুরু তকুনাগা জানান, আবারও এই অভিযানের প্রস্তুতি নিতে অন্তত ৩ দিন সময় দরকার।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বরের আগেই এই অভিযান শুরু করতে হবে।
গত সপ্তাহে ভারতের সাফল্যের আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদের বুকে মহাকাশ যান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু কোনো দেশ এর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে পারেনি।
অল্প কিছুদিন আগেই রাশিয়ার মহাকাশযান বিধ্বস্ত হয়ে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে। ৪ বছর আগে ভারত আরও একবার চন্দ্রাভিযানের চেষ্টা চালালেও তা ব্যর্থ হয়।
জাপান এর আগে নাসা'র আর্টেমিস-১ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে ওমোতেনাশি নামে একটি মহাকাশযান পাঠাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই অভিযানও ব্যর্থ হয়।
'মুন স্নাইপার' নামকরণের কারণ হচ্ছে, জাক্সা চাইছে তাদের কম ওজনবিশিষ্ট 'স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেসটিগেটিং মুন (স্লিম)' কে চাঁদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণ করাতে।
সাধারণ অবতরণের ক্ষেত্রে কয়েক কিলোমিটার পাল্লা নির্ধারণ করা হয়।
খেলনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নির্মিত একটি হাতের তালুর সমান মিনি রোভারের মাধ্যমে স্লিম চাঁদের বুকে গবেষণা চালাবে। গবেষণার উদ্দেশ্য, চাঁদ কীভাবে গঠিত হল, তা খুঁজে বের করা।
Comments