সীতাকুণ্ডে ২ ত্রিপুরা কিশোরীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২০১৮ সালে ২ ত্রিপুরা কিশোরীকে হত্যার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আদালত।
Gavel

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২০১৮ সালে ২ ত্রিপুরা কিশোরীকে হত্যার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আদালত।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আলিম উল্লাহ এ রায় দেন।

একইসঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. আবুল হোসেন। ওমর হায়াত মানিক নামে আরেক আসামিকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত আবুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন এবং অপর আসামি ওমর হায়াত মানিককে বিচার শেষে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'শুরু থেকে নিহতের পরিবার ধর্ষণের কথা বললেও মেডিকেল রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। এ ছাড়া, এক আসামির বয়স ও নামের অমিল যাচাই না করেই আইও মামলার চার্জশিট দিয়েছেন। তাই ত্রুটিপূর্ণ তদন্তের বরাত দিয়ে আদালত আইজিপিকে মামলার আইওর বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।'

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ত্রিপুরা পাড়ার একটি বাড়িতে ২ ত্রিপুরা কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন, ফলিন ত্রিপুরার মেয়ে সুখলতি ত্রিপুরা এবং সুমন ত্রিপুরার মেয়ে ছবি রানী ত্রিপুরা।

সুখলতি ত্রিপুরার বাড়িতে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এ ঘটনার পর নিহতের বাবা আবুল, মানিক ও রাজিব নামে ৩ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর কয়েকদিন পর সীতাকুণ্ডের জঙ্গল থেকে রাজিবের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর পুলিশ ২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয়।

আজ রায় ঘোষণার পর আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Comments