চাষাঢ়ায় গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার শফিউর রহমান কাজলকে (৫৮) ওই ভবনের মালিক গুলি করলে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চাষাঢ়ায় গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের মৃত্যু
চাষাঢ়ায় ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ রেস্তোরাঁর সামনের সড়কে গুলির ঘটনা ঘটে। ছবি: সৌরভ হোসেন সিয়াম/স্টার

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার শফিউর রহমান কাজলকে (৫৮) ওই ভবনের মালিক গুলি করলে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

শফিউর রহমান কাজল (৫৮) শহরের চাষাঢ়ায় 'সুলতান ভাই কাচ্চি' রেস্তোরাঁর মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল ম্যানেজার) ছিলেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভবন মালিক আজহার তালুকদারকে (৬৫) আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতের ভাগনে ও একই রেস্তোরাঁর গোডাউন ম্যানেজার মাহমুদ হাসান হৃদয় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খালুর তলপেটে এবং মেরুদণ্ডের কাছাকাছি দুটি স্থানে গুলিবিদ্ধ হন। রোববার রাতে ঘটনার পর তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।'

রেস্তোরাঁর আরেক ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) রিপন সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ভবনের মালিক আজহার তালুকদার উত্তেজিত অবস্থায় হাতে একটি পিস্তলসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রেস্তোরাঁয় ঢোকেন। প্রথমে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন।'

'আমরা তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত আজহার ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এরপর তিনি দুটো গুলি করেন আমাদের জেনারেল ম্যানেজার কাজল সাহেবকে। দুটো গুলি পায়ে লাগে,' বলেন তিনি।

আহত শফিউর রহমান কাজলের ভাগনে রেস্তোরাঁর গোডাউন ম্যানেজার মাহমুদ হাসান হৃদয় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পানির লাইন নিয়ে ভবন মালিকের সঙ্গে আমাদের একটা দ্বন্দ্ব ছিল। ভবন মালিক আজহার তালুকদারকে বারবার বলার পরও তিনি পানির লাইন দেননি। পরে আমরা নিজ উদ্যোগে লাইন নিই। সেই লাইন আবার কেটে দেন আজহার। এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব ছিল। তবে এ দ্বন্দ্বের জেরে গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না নিশ্চিত নই।'

 

Comments