অপরাধ ও বিচার

২ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর: তৃতীয়বার বাড়ল তদন্তের সময়সীমা

কমিটি জানায়, এডিসি হারুন-অর-রশীদ ও সানজিদা আফরিন, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক, আহত ২ ছাত্রলীগ নেতা এবং বারডেম হাসপাতালের কর্মচারীসহ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন তারা।
থানায় নিয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার
এডিসি হারুন-অর-রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

শাহবাগ থানায় এডিসি হারুনসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধরের ঘটনার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।  

গত ৯ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা তদন্তে আরও ৩ দিন সময় পেয়েছে ডিএমপির তদন্ত কমিটি।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তদন্ত কমিটির সময়সীমা বাড়ানো হলো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আরও ৩ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।'

তদন্ত কমিটি ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও ৭ কার্যদিবস সময় চেয়েছিল বলে কমিটির অন্যতম সদস্য অতিরিক্ত উপকমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) শাহেন শাহ ডেইলি স্টারকে জানান।

বারবার সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি শাহেন শাহ বলেন, 'প্রতিবেদনের কাজ প্রায় শেষ। এখন কিছু দাপ্তরিক কাজকর্ম চলছে।'

কমিটি সূত্র জানায়, এডিসি হারুন-অর-রশীদ ও সানজিদা আফরিন, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক, আহত ২ ছাত্রলীগ নেতা এবং বারডেম হাসপাতালের কর্মচারীসহ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন তারা। এছাড়া ঘটনার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশীদ মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ২ নেতা হলেন-কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে প্রাথমিকভাবে ২ দিন সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরে আরও ৫ দিন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর আরও ৩ দিন সময় বাড়ানো হয় তদন্তকাজের।

Comments