চুয়াডাঙ্গা

পাচারের জন্য ১০ কেজি স্বর্ণের বার কোমরে বেঁধে নদীতে লাফ, স্বর্ণসহ মরদেহ উদ্ধার

রোববার বিকেলে বেশ কিছু স্বর্ণের বার কোমরে বেঁধে মাথাভাঙ্গা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন।
১০ কেজি স্বর্ণের বার কোমরে বেঁধে নদীতে লাফ
মিরাজের শরীর তল্লাশি করে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। ছবি: সংগৃহীত

স্বর্ণের বার কোমরে বেঁধে ভারতে পাচারের সময় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের প্রায় দুই ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার কছেরে পুলিশ।
 
আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম মিরাজ হোসেন (২২)। তিনি একই গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মিরাজের শরীর তল্লাশি করে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'মিরাজ হোসেন একজন স্বর্ণ চোরাকারবারী। আজ বিকেলে বেশ কিছু স্বর্ণের বার কোমরে বেঁধে মাথাভাঙ্গা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
 
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, মিরাজের শরীর তল্লাশি করে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম এবং বাজার মূল্য আনুমানিক ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে। 

Comments