বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া জামিনে মুক্ত

Papiya Final-1.jpg
শামীমা নূর পাপিয়া। ফাইল ছবি

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর অবশেষে জামিনে বের হয়েছেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় তিনি কারাগার থেকে জামিনে বের হন।

কুমিল্লা কারাগারের জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি মামলা। 

সাজাপ্রাপ্তের পর থেকে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর ২০২৩ সালের ৩ জুলাই তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পাপিয়া জামিনে বের হয়েছেন। তার জামিনের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারামুক্ত করা হয়েছে।'

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন এবং অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার এবং ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।

চার্জশিটে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরবর্তীতে খরচ করেন। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি।

পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধ অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড ছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। 

 

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

Bangladesh Bank purchased another $313 million from 22 commercial banks in an auction yesterday, reacting to the sharp drop in the US dollar rate.

7h ago