বিপুল সম্পদের বেশিরভাগ যেভাবে গড়েছেন মতিউর

মতিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান তার বেশিরভাগ সম্পদ তৈরি করেছেন প্রাক-পাবলিক শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে। অন্তত ১৫টি পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিতে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের শেয়ারের মালিকানা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তাদের শেয়ার বিক্রির আগে ব্যক্তিগতভাবে বিনিয়োগকারীদের কাছে যে শেয়ার বিক্রি করে, সেটাই প্রাক-পাবলিক বা প্লেসমেন্ট শেয়ার।

স্বাভাবিকভাবেই প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীর মধ্যে আগে থেকেই যোগাযোগ থাকতে হয়।

বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ তখনই হয়, যখন এখানে বিনিয়োগকারী একজন কর নিয়ন্ত্রক—যিনি এনবিআরের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং সর্বশেষ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

এই লাখো প্লেসমেন্ট শেয়ার শুধু তাকেই দেওয়া হয়নি, তার পরিবারের সদস্যরাও বিপুল সংখ্যক প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনেছেন।

গত তিন সপ্তাহে দ্য ডেইলি স্টার ১৫টি কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে, যেগুলো প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করেছে এবং সেখানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নয় কোটি ৮০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনার প্যাটার্ন দেখতে পেয়েছে।

এসব শেয়ারের মালিকদের মধ্যে রয়েছেন মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিবলী, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিতা।

আরও আছের মতিউরের বোন হাওয়া নূর বেগম, ভাই এমএ কাইয়ুম হাওলাদার ও মো নুরুল হুদা, শ্যালিকা শারমিন আক্তার লাভলী এবং ভায়রা মোহাম্মদ নাসার উদ্দিন।

এমনকি মতিউরের গ্রামের দুই আত্মীয় মো. রশিদুজ্জামান ও মো. মিজানুর রহমানের শেয়ারের তথ্যও পেয়েছে ডেইলি স্টার।

এসব শেয়ারের বেশির ভাগ—প্রায় ৬৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ—নিজেদের নামে কেনা হয়েছে। বাকি প্রায় ৩৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ শেয়ার সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কেনা হয়েছে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন পাঁচটি কোম্পানির নামে।

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ছয় কোটি ৮২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিগুলো তৈরি করা হয়েছে বা অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে, যখন তিনি এনবিআরে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।

প্লেসমেন্ট শেয়ারগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশও কেনা হয়েছে এই সময়ের মধ্যেই। এ ছাড়া ২০১১, ২০১০ ও ২০০৮ সালে, এমনকি ২০০২ সালেও তিনি লাখো প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনেছেন।

গত ২৪ জুন থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মতিউর রহমান, হাওয়া নূর বেগম, শারমিন আক্তার লাভলী ও ফারজানা রহমানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ডেইলি স্টার। তবে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। অর্ণব, লায়লা কানিজ ও কাইয়ুম হাওলাদারকে কল করলেও তারা ধরেননি, এমনকি মেসেজ পাঠানো হলেও জবাব দেননি।

চাকরি বিধি অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা এ ধরনের বিনিয়োগ করতে পারেন না। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ ধরনের কোনো বিনিয়োগ করতে পারবেন না।

বিধি অনুযায়ী, যেসব শেয়ার সম্পর্কে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে অগ্রিম তথ্য থাকতে পারে, সেখানে তারা বিনিয়োগ করতে পারবেন না। অথচ, এনবিআরের কর্মকর্তা হিসেবে স্পষ্টতই তার কাছে এসব কোম্পানির শেয়ারের অগ্রিম তথ্য ছিল।

কোম্পানিগুলো তাদের আইপিও ছাড়ার আগে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা যে প্লেসমেন্ট শেয়ারগুলো কিনেছেন, তা মূলত অভ্যন্তরীণ ব্যবসা এবং এটি পুঁজিবাজারের নিয়ম লঙ্ঘন।

মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১২ লাখ টাকা দামের একটি ছাগল কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সংবাদ শিরোনাম হতে শুরু করে তার ও পরিবারের সম্পদের খবর। যদিও ওই ছাগলটি যে খামারে পালন করা হয়েছিল তার মালিক দাবি করেছিলেন, এক লাখ টাকা অগ্রিম দিলেও বিতর্কের মুখে ইফাত শেষ পর্যন্ত ছাগলটি আর নেননি।

মতিউর প্রকাশ্যে অস্বীকার করেছিলেন যে ইফাত তার ছেলে।

শেয়ারবাজারের তথ্য অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে কেনা হলেও মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা শেয়ারগুলোর ক্রয়মূল্য অন্তত ১০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫টি কোম্পানি এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন পাঁচটি কোম্পানিতে মতিউর তার পরিবারের সদস্যদের শেয়ার রয়েছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা—যদিও দ্য ডেইলি স্টার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি যে, সব শেয়ার এখনো তাদের হাতে রয়েছে কি না, কিংবা আরও কোনো কোম্পানিতে তাদের শেয়ার আছে কি না।

মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন পাঁচটি কোম্পানি হলো—গ্লোবাল শু, গ্লোবাল ম্যাক্স, এসকে ট্রিমস, অনিক ট্রিমস ও সিনার্জি ট্রেডিং।

১৯৯৪ সালে ট্রেড ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন মতিউর। ১৯৯৮ সালে তিনি ডেপুটেশনে কাস্টমসে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হন, যে পদে বর্তমান মাসিক মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। মতিউর ও তার পরিবারের সম্পদ নিয়ে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক আলোচনার পর তাকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি চার বছর আগে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। তার বার্ষিক পেনশনের পরিমাণ চার লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

এ ছাড়া, লাকি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান। উপজেলা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া লাকির হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের মূল্য ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যদিও ডেইলি স্টারের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তিনি তার সম্পদের মূল্য বহুগুণ কমিয়ে দেখিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মতিউরের ছেলে অর্ণব ২০২১ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী, মতিউরের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিতা একজন মেকআপ আর্টিস্ট এবং কানাডায় তার এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা রয়েছে।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে মতিউরের ভাই এমএ কাইয়ুম হাওলাদারের নামে। তিনটি কোম্পানিতে তার নামে শেয়ারের পরিমাণ এক কোটি ৪০ লাখ।

তার বোন হাওয়া নূর বেগমের নামে আটটি কোম্পানিতে রয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ শেয়ার।

কানাডায় বসবাসকারী মতিউরের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিতা তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শেয়ারের মালিক। নয়টি কোম্পানিতে তার শেয়ার রয়েছে ৯০ লাখ ৫০ হাজার।

আর মতিউরের নামে নয়টি কোম্পানিতে রয়েছে ৮৬ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার।

তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার পাঁচটি কোম্পানির ৭৪ লাখ শেয়ারের মালিক এবং তার শ্যালিকা শারমিন আক্তার লাভলী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির ৫২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ারের মালিক।

মতিউরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের ১০টি পাবলিক কোম্পানিতে ৫২ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী লাকির রয়েছে নয় লাখ ১০ হাজার শেয়ার। মতিউরের আরেক ভাই মো. নুরুল হুদা দেড় লাখ এবং ভায়রা মোহাম্মদ নাসার উদ্দিন ৬০ হাজার শেয়ারের মালিক।

এ ছাড়া, তার গ্রামের বাড়ির আরও দুই আত্মীয়ের রয়েছে ৬০ হাজার শেয়ারের মালিকানা।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই ১৫টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে পোশাক ও পোশাকের আনুষঙ্গিক প্রস্তুতকারক—যেমন: সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেড, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এমএল ডাইং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, রিং-শাইন টেক্সটাইলস, কাট্টালি টেক্সটাইলস। আরও রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, এফএআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসিএমই পেস্টিসাইডস, অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস ও ডমিনেজ স্টিল।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, 'এটা সবাই জানে যে প্লেসমেন্ট শেয়ারগুলো দেওয়া হয় বাড়তি সুবিধা হিসেবে। কেন এতগুলো কোম্পানি তাকে এই বাড়তি সুবিধাটা দিলো?'

পুঁজিবাজার ছাড়াও মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে সাড়ে তিন কোটি প্লেসমেন্ট শেয়ারের খোঁজ পেয়েছে ডেইলি স্টার।

মতিউরের ভাই এমএ কাইয়ুম হাওলাদার গ্লোবাল শু লিমিটেড নামে একটি জুতা তৈরি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মতিউরের ভায়রা নাসার উদ্দিন এই কোম্পানির শেয়ারের মালিক। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানিতে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের প্লেসমেন্ট শেয়ার রয়েছে, সেখানে এই গ্লোবাল শু লিমিটেডের নামেও প্লেসমেন্ট শেয়ার রয়েছে।

গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে তাদের আরেকটি পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অন্তত চারটি কোম্পানির ৫৮ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। এই পারিবারিক কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউরের শ্যালিকা শারমিন আক্তার লাভলী। এর পরিচালক তার ভায়রা নাসার উদ্দিন এবং চেয়ারম্যান তার বোন হাওয়া নূর বেগম।

তাদের এমন আরও তিনটি পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি হলো—অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড, এসকে ট্রিমস লিমিটেড ও সিনার্জি ট্রেডিং লিমিটেড। সম্মিলিতভাবে এই তিনটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির—যেখানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের শেয়ার রয়েছে—৯৭ লাখ ৪০ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ারের মালিক।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একাধিকবার এমন হয়েছে যে একই দিনে বা কয়েকদিন আগে-পরে মতিউরের পরিবারের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এসব প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনেছে।

উদাহরণস্বরূপ, গ্লোবাল শু ২০১০ সালের ২ মে এমএল ডাইং লিমিটেডের প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনে। ওই একই দিন মতিউর, তার ছেলে, মেয়ে ও বোনও এমএল ডাইং লিমিটেডের প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনেছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিং-শাইন টেক্সটাইলে মতিউর, তার ছেলে, মেয়ে ও তাদের কোম্পানি গ্লোবাল শু প্লেসমেন্ট শেয়ারের মালিক। অভিযোগ রয়েছে, রিং-শাইন টেক্সটাইল মতিউর ও তার পরিবারের এই সদস্যদের নামে প্লেসমেন্ট শেয়ার দিলেও বিনিময়ে কোনো নগদ অর্থ নেয়নি।

২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে আসার আগে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে রিং-শাইন তাদের পরিশোধিত মূলধন নয় কোটি ৯৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৮৫ কোটি টাকা করে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন পরে দেখতে পায় যে, ১১ জন স্পন্সর পরিচালক এবং ৩৩ জন বহিরাগত শেয়ারহোল্ডারকে এসব প্লেসমেন্ট শেয়ার দেওয়া হয় বিনামূল্যে।

মতিউর ও তার পরিবার ২০০৮ সালের অক্টোবরে রিং-শাইন থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ার পেয়েছিলেন।

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকীর প্রশ্ন, 'এমন অপরাধের পরও রিং-শাইন টেক্সটাইল এবং তাদের শেয়ারহোল্ডারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন?'

গত ১৯ জুন একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মতিউর বলেছিলেন, তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে বসেন এবং তাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে ও প্রবৃদ্ধির জন্য সমাধান দিতে কোম্পানি বা তাদের কারখানা পরিদর্শন করেন এবং বিনিময়ে প্লেসমেন্ট শেয়ার নেন।

তিনি আরও বলেছিলেন, তার 'পরামর্শ'র বিনিময়ে তিনি ১০ টাকা মূল্যের ফরচুন সু'র শেয়ার পেয়েছেন আট টাকা হারে। এটা স্পষ্টতই আইনের লঙ্ঘন।

ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, 'একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তিনি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তিনি এ ধরনের পরামর্শ দিতে পারেন না। তাদের এ ধরনের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'

মতিউর গুরুতর অপরাধ করেছে উল্লেখ করে ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, 'তিনি ভেতরের তথ্য জানতেন। আপনার কাছে এমন কোনো তথ্য থাকলে এই ব্যবসা করা অপরাধ। এটা হলো ইনসাইডার ট্রেডিং।'

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago