কুমিল্লায় সাবেক সংসদ সদস্য বাহার ও তার মেয়র মেয়ের নামে হত্যা মামলা

তীব্র গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য বাহার ও তার মেয়ে সিটি মেয়র সূচনা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও তার মেয়ে সিটি মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট কোটবাড়ী এলাকায় মাসুম মিয়া (২০) নামের এক তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে সদর দক্ষিণ থানায় নগরের দিশাবন্দ এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আবদুল হান্নান মামলাটি করেন।  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ভুইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মাসুম  উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে। ৪ আগস্ট কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকার নন্দনপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত হন তিনি। তবে শুরুতে পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য বাহার কে এক নম্বর ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র সূচনাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। 

অন্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ নিয়াজ পাভেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাবিবুর আল আমিন সাদী প্রমুখ।  

মামলায় আসামিদের সবাই বাহারের ঘনিষ্ঠ এবং কেউ কেউ চিহ্নিত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪ আগস্ট বেলা দুইটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সদর দক্ষিণ মডেল থানার নন্দনপুরে কোটবাড়ী বিশ্বরোড পাকা রাস্তার ওপর শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিল। বিকেল ৪টার ২০ মিনিটের দিকে ১ ও ২ নম্বর আসামির হুকুমে মাসুম মিয়াকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Wait for justice: 21 years and counting

The final judgment in the cases is now pending with the Appellate Division as trial proceedings have been completed at the lower court and HC Division

11h ago