ইউনূসকে পদ্মায় চুবানো ও খালেদাকে ফেলে দেওয়ার হুমকি: হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবানি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।

আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এই মামলা করেন।

আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়।'

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার যে গভীর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশা তার মনে সুপ্তভাবে বিদ্যমান ছিল এবং প্রকাশ্য বিষোদাগারের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আসামি বিষোদাগার করে বলেন যে, পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত, একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধের চেষ্টায় নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন।

এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা সেই মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদাগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে তাদের হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

3h ago