নির্বাচনে অনিয়ম: সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন ৩ অভিযোগ

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহসহ আরও ৩টি নতুন অভিযোগ যুক্ত হয়েছে।
একই মামলায় আরও ১০ সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং অপর ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, তাদের বিরুদ্ধে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ যোগ করার আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের এক কর্মচারী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।
নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে গত ২২ জুন বিএনপির পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, অপহরণ ও হুমকির মাধ্যমে টার্গেট করা হয়। অনেককে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হয় যেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।
বিএনপির দাবি, মামলায় অভিযুক্তরা এই তিন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মে জড়িত ছিলেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে আরও আছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী ও শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধানরা।
বিএনপির অভিযোগ, অভিযুক্তরা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছেন।
Comments