২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে ৫ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন

৩ ধাপে ৫ সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
Election Commission Logo

চলতি বছরের মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে ৩ ধাপে ৫ সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।

এসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে চায় বর্তমান কমিশন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে চূড়ান্ত হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব সিদ্ধান্ত জানান।

সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্যান্য কমিশনারসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।

৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই শুরু করতে হবে জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা এগুলোর নির্বাচনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এপ্রিল মাস রমজান মাস। পরে ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত এসসসি পরীক্ষা চলমান থাকবে। ২৯ জুলাই ঈদুল-আযহা। ঈদুল আযহার পূর্বে এসএসসি পরীক্ষার শেষে ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজন করবো সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে তফসিল ঘোষণা করবো কোনটা কোন তারিখে তখন বলা যাবে।'

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, '২৩ মে'র পরবর্তী সময় থেকে ২৩ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ৩ ধাপে ৫ সিটি করপোরেশনে ভোট করবো।'

একটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কাস্টমাইজ করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে বলে জানান তিনি। নির্বাচনের মাঝে ১০ থেকে ১২ দিন গ্যাপ থাকবে বলে তিনি জানান।

৫ সিটি করপোরেশনের ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'সিসি ক্যামেরা রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তা পরবর্তীতে চূড়ান্ত হবে।'

Comments