নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: সাকিব আল হাসানকে শোকজ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

একইসঙ্গে তাকে আগামী ১ ডিসেম্বর বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনী এলাকা-৯১ ও মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক; যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, 'মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গতকাল বুধবার ঢাকা থেকে মাগুরায় আগমনের সময় কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন সাকিব আল হাসান। পরে নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যাহা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর দ্বারা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন সাকিব আল হাসান।

উক্ত আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তদমর্মে নির্বাচনি এলাকা-৯১ এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি এবং মাগুরার মুখ্য জেলা ও দায়রা জজ, প্রথম আদালতের দপ্তরে আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সড়কপথে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরায় পৌঁছান সাকিব। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গড়াই সেতু এলাকায় ভিড় করে হাজারো জনতা। মাগুরায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেই সময় সেখানে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু ও মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মাগুরা পৌর গোরস্থানে যান সাকিব। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের শান্তি কামনায় দোয়া করেন। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে নাগরিক গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সেই হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago