হুইপ সামশুলের শিক্ষাগত সনদ নিয়ে প্রশ্ন, যাচাই শেষে মনোনয়ন বৈধ

তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কার্যালয়ে হুইপের ছেলে শাহরুন চৌধুরী বাবার প্রত্যয়ন পত্র উপস্থাপন করেন।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম-১২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই কালে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

পরে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী মুজিবুল হক। তখন হুইপের সঙ্গে ছিলেন মহানগরের পিপি আবদুর রশিদ। 

তাৎক্ষণিকভাবে হুইপের ছেলে শাহরুন চৌধুরী তার বাবার প্রত্যয়ন পত্র উপস্থাপন করেন।

তখন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন,  'আপিল করলে তা যথাযথভাবে করতে হয়। এই মুহূর্তে যাচাই-বাছাই করে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হলো।'

হুইপের ছেলে শাহরুন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবার মনোনয়নের সঙ্গে শিক্ষাগত সনদ জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আমরা বুঝতে পারিনি।'  

চট্টগ্রাম-১২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এয়াকুব আলীর মনোনয়ন ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল হয়েছে।

এ আসনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াছ মিয়ার মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবকসহ ১ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সঠিকভাবে শনাক্ত না হওয়ায় এবং গরমিল থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী কিবরিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এক শতাংশ সমর্থনসূচক ভোটার তালিকায় উল্লেখ করা এক ভোটার দুই বছর আগে মারা যাওয়া এবং আরও ভোটারের তথ্য গরমিল পাওয়া যাওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এম এ মতিনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আরেক প্রার্থী জয়নুল আবেদীনের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করায় বাতিল করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ফরিদ মাহমুদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। 

আজ সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট আসনের এক শতাংশ ভোটারের নাম ও সই জমা দিতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে। 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন স্বাক্ষরদাতার তথ্য যাচাইকালে ৩ জনকে শনাক্ত করা যায়নি বলে সাবেক যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 

তবে ফরিদ মাহমুদের দাবি, তিনি সঠিক তথ্য দিয়েছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা খুঁজে পায়নি। 

এ আসনে তিনি ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওসমান গনি ও ফয়সাল আমীন এবং বিএনএফের মঞ্জুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। 

এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। 

গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৮টি আসনের ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলের ১৩ জন। 

এক শতাংশ ভোটার তালিকায় ভোটারের নাম ও সইয়ে গরমিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি বলে জানা গেছে। 

আর দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে কাগজপত্র জমা না দিতে পারার কারণে। 

চট্টগ্রামের মোট ১৬টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল ১৪৮টি।

এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২ দিনে ৮৮টির মধ্যে বৈধ হয়েছে ৭৪টি এবং বাতিল হয়েছে ১৪টি। 

অপরদিকে, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ৬০টির মধ্যে বৈধ হয়েছে ৪৪টি এবং বাতিল হয়েছে ১৬টি মনোনয়নপত্র।

 

Comments

The Daily Star  | English
Increased power tariffs to be effective from February, not March: Nasrul

Improving summer power supply: Govt pays half the subsidy power ministry needs

The Finance Division last week disbursed Tk 1,500 crore in subsidy against the power ministry’s demand for the immediate release of Tk 3,000 crore to boost electricity supply during the summer months.

10h ago