মনোনয়ন বাতিল বেড়েছে

যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তারা ৫-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন।
election-commission_symbolic_ds
প্রতীকী ছবি

গত দুই নির্বাচনের তুলনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজ সোমবার ইসি কার্যালয়ে জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।

সেই হিসাবে এবার প্রায় ২৬ দশমিক নয় শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের সময় তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৭৮৬টি বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সেবারও প্রায় ২৫ দশমিক ছয় শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া ৩২১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ১০৭টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ২৩০টি বাতিল করেছিলেন। অর্থাৎ বাতিল করা হয়েছিল ২১ শতাংশ মনোনয়নপত্র।

আজ দেওয়া ইসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল জমা দিতে হবে।

১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে ইসি।

মনোনয়নপত্র বাতিলের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে জানান ইসির যুগ্ম সচিব (আইন) মাহবুবুর রহমান সরকার। সেগুলো হলো—স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের সই জমা দিতে না পারা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা।

Comments