ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট এসে ঠেকেছে বনানীতে

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ বুধবার ভোর থেকেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ির দীর্ঘ সাড়ি চলে গেছে বনানী পর্যন্ত। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অফিসগামীসহ ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।
সকাল থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ বুধবার ভোর থেকেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ির দীর্ঘ সাড়ি চলে গেছে বনানী পর্যন্ত। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অফিসগামীসহ ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে ভোর ৫টা থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট। ময়মনসিংহগামী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকাগামী সড়কের টঙ্গীর বোর্ড বাজার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৮টায় টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী নূরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৭টা থেকে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে যানজটের কারণে। সকাল ৮টায় অফিসে থাকার কথা। এখন বাজে সাড়ে ৮টা। আজ অফিস করতে পারব কি না, বুঝতে পারছি না। প্রায়ই এ মহাসড়কে জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আজ এমন অবস্থা হয়েছে, না পারছি সামনে যেতে, না পারছি গাড়ি ঘুরিয়ে বাসায় ফিরে যেতে।'

বোর্ড বাজার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হুমায়ূন কবির বলেন, 'সড়কের পাশের ড্রেন আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি উপচে পড়ে মহাসড়কের গর্তে গিয়ে জমা হচ্ছে। তা ছাড়া, বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক কিছুটা সরু হয়ে গেছে। খানাখন্দে ভরা সড়কে বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগ এখন নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়েছে।'

টঙ্গী কলেজগেট এলাকার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলী জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল ৭টায় গাজীপুরের মাওনায় অফিসে যান। আজ বুধবার সড়কে বের হয়েই দেখেন গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। কোনো গাড়ি সামনে এগোচ্ছে না। তাই, যানজটে আটকে থাকার ভয়ে অফিসে না গিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। সোমবার দিন ও রাতে টানা বৃষ্টিতে এ মহাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আজকে অবস্থা আরও বেশি খারাপ হবে মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জামালপুরের রাজীব পরিবহনের চালক মাইনুদ্দিন বলেন, 'টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় গাড়ি চলছে এক লেনে। উভয়মুখী সড়কে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। মহাসড়কের গাজীপুরের অংশে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণসামগ্রী এলোমেলোভাবে ফেলে রাখার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন যদি টঙ্গীর মিলগেটের অল্প রাস্তাটুকু মেরামত করে দিত, তাহলে আজকে এরকম যানজট হতো না।'

আব্দুল্লাহপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্মরত এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার দিনব্যাপী হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় সড়কের গর্তে পানি জমে গেছে। ফলে চলাচলরত যানবাহনের চাকা ওইসব গর্তে পড়ে গর্ত আরও বড় হয়েছে। এতে করে যানবাহনের চাকা গর্তে আটকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট বনানী পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।'

বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক মহিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সড়কে স্থায়ী নির্মাণকাজ চলছে। নভেম্বরের দিকে কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না। যেখানে বেশি ভাঙা, সেখানে আগে মেরামত করছি।'

Comments