করতোয়ায় নৌকাডুবি: দেড় মাস পর ১ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার দেড় মাসের মাথায় একজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় নৌকাডুবির স্থান থেকে প্রায় ৫০ গজ দক্ষিণে নদীর বালুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
মরদেহটি নিখোঁজ ভূপেন্দ্রনাথ বর্মণের (৪২) বলে শনাক্ত করেছেন তার স্বজনেরা।
নিহত ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণ দেবীগঞ্জ উপজেলার হাতিডোবা-ছত্রশিকারপুর এলাকার বাসিন্দা।
মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৩ বছর বয়সী ছেলে দীপুকে নিয়ে নদী পার হচ্ছিলেন ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণ (৪২) ও রুপালি রাণী (৩৬) দম্পতি।
ঘটনার পর শিশু দীপু উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন শিশুটির বাবা-মা।
পরের দিন রুপালি রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর দেড় মাস পরে উদ্ধার হলো নিখোঁজ ভূপেন্দ্রনাথের মরদেহ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে স্থানীয় বালু শ্রমিক সুলতান আলী, আলমগীরসহ কয়েকজন বালু তুলতে যান। বালু তোলার এক পর্যায়ে নদীর হাটু পানির মধ্যে বালুর নিচে শক্ত কিছু অনুভব করেন তারা। পরে তাদের সন্দেহ হলে খনন করে একটি অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দেন।
পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি নদীর পাড়ে তোলেন।
নিহত ভূপেন্দ্র নাথ বর্মনের বড় ছেলে দীপন চন্দ্র বর্মণ (১৭) বলেন, 'নদীতে লাশ পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে আমরা নদীর পাড়ে ছুটে আসি। পরে এসে লাশের কাপড় চোপড় দেখে বুঝতে পারি এই লাশটি আমার বাবার।'
এ প্রসঙ্গে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উদ্ধারের পর ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণের স্বজনরা মরদেহটি ভূপেনের বলে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মরদেহের সঙ্গে পাওয়া মুঠোফোনের সিম চালু করে লাশটি ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।'
জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী, নৌকাডুবিতে এখনো আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া এলাকার শিশু জয়া রানী (৪) এবং বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সরেন্দ্র নাথ বর্মণ (৬৫)।
Comments