শুধু সংস্কৃতিতেই নয়, ভারতের সঙ্গে আমাদের সবকিছুতে মিল: ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, 'ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। আমাদের বন্ধুত্ব ১৯৭১ সাল থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের সেনারাও প্রাণ দিয়েছে।'
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন ও অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, 'ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। আমাদের বন্ধুত্ব ১৯৭১ সাল থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের সেনারাও প্রাণ দিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'শুধু সংস্কৃতিতে নয়, আমাদের সবকিছুতেই অনেক মিল রয়েছে। আমাদের উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও ভালো সম্পর্ক। তাই করোনার সময়ে ভারত আমাদের পাশে ছিল।'

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'আমরা ভারতের কাছে বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টির জন্য হাত বাড়াতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক। আমাদের সম্পর্কটা একে অপরের প্রতি সমান সমান অবস্থানে। এখন আমাদের অর্থনীতি ও উন্নয়ন এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে। এ সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা উভয়েই আন্তরিক।'

রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানের শুরুতে চট্টগ্রামে নিয়োজিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন ও সুস্মিতা রঞ্জন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে তারা প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন বলেন, 'এ দিবসটি আমাদের অত্যন্ত স্মরণীয়। এ দিনে আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই স্বাধীন ভারতের গণতন্ত্র পাই। ভারত সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন, গণতন্ত্রেরও। তাই আমরা গণতন্ত্র রক্ষায় যেমন অগ্রণী ভূমিকা পালন করি, তেমনি প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় সচেষ্ট।'

বাংলাদেশ ভারতের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু একজন সত্যিকারের গেম চেঞ্জার, তিনি পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো। আমরা বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও সফলতায় আনন্দিত হই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রথমে প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর মধ্যে প্রথমে বাংলাদেশ। কেননা বাংলাদেশ ভারতের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী।'

বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে ওড়িশি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার ও কালারসোফি ডান্স সেন্টার, সঞ্চারি নৃত্যকলা একাডেমি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপু দে।

এ অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, সংসদ সদস্য শামসুল চৌধুরী, এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফজলে করিম চৌধুরী, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago