বাউফল

সংযোগ সড়ক নেই, মই দিয়ে সেতু পার

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়ক কবে নাগাদ নির্মাণ হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মই দিয়ে সেতু পার
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়ক গত ২ বছরেও হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচে সেতুটির মূল অবকাঠামো তৈরি হয়েছিল প্রায় ২ বছর আগেই। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় সেতুটি স্থানীয়দের কাজে আসছে না।

কাঠের মই দিয়ে এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করছেন।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়ক কবে নাগাদ নির্মাণ হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচে দ্বিপাশা খালের ওপর সেতু নির্মাণ করে। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথা ২০২১ সালের মাঝামাঝি শেষ হয়।

গত ২ বছরেও সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়রা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সোনামুদ্দিন মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কনকদিয়া এসএস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কালাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় আমরা কাঠের মই তৈরি করি। উভয় পাশের লোকজন মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন।'

অপর বাসিন্দা তাহমিনা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা প্রতিদিন এই সেতু পার হয়ে কৃষি কাজ করতে যাই। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতুতে উঠতে হয়। অবিলম্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।'

সোনামুদ্দিন মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসমা আক্তার ডেইলি স্টারকে জানায়, 'সেতুতে উঠতে গিয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে কয়েকজন আহতও হয়েছে। সেতুটি এখন যেন মরণ ফাঁদ।'

মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, 'সেতু নিয়ে জনদুর্ভোগের বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা পর্যায়ের সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। কোন কাজ হচ্ছে না। সংযোগ সড়কটি দ্রুত নির্মাণ করা জরুরি।'

প্রকল্পের ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুব শিগগির সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।'

উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাজটি ফেলে রাখায় আমরাও বিপাকে আছি। এলাকার লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে আলাপ করে শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments